পর্যটক আর দোকানের পশরা সাজিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে লাদাখ

লেহ, লাদাখ, ১ অক্টোবর: সপ্তাহব্যাপী কারফিউ এবং হিংসার ছায়ায় অচল ছিল লাদাখের হৃদয়স্থল লেহ (Ladakh Tourism)। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাত ঘণ্টার জন্য…

Ladakh Tourism

লেহ, লাদাখ, ১ অক্টোবর: সপ্তাহব্যাপী কারফিউ এবং হিংসার ছায়ায় অচল ছিল লাদাখের হৃদয়স্থল লেহ (Ladakh Tourism)। কিন্তু আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল হওয়ায় বাজারগুলি ধীরে ধীরে খুলে গেছে। পর্যটকরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। দোকানপাট সাজানোর ছুটির ব্যবস্থা হয়েছে, যাতে মানুষ খাদ্য, পোশাক, হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারেন। এই শিথিলতা প্রশাসনের অনুমতিতে হয়েছে, যা স্থানীয়দের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর।

Advertisements

লেহের প্রধান বাজার এলাকায় সকাল থেকেই লোকজনের ভিড় দেখা গেছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “গত সপ্তাহ ধরে দোকান বন্ধ থাকায় আমরা কষ্ট পাচ্ছিলাম। আজ শেষে কিছু কেনাকাটা করতে পেরেছি। এটা আমাদের জন্য বড় উপকার।” পর্যটকরাও এই সুযোগে বাজারে এসেছেন। এক দিল্লি থেকে আগত পর্যটকরা বলেন “আমরা লাদাখের সৌন্দর্য দেখতে এসেছিলাম, কিন্তু কারফিউয়ে আটকে পড়েছিলাম। আজ বাজার খোলায় অন্তত কিছু কেনাকাটা করতে পারলাম। আশা করি শীঘ্রই স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।”

   

লেহ অ্যাপেক্স বডি (এলএবি)-এর একটি অংশীদার সংগঠনের ডাকায় বন্ধের আহ্বানে বিক্ষোভ হয়, যা পৃথক রাজ্য এবং ষষ্ঠ তফসিলের দাবিতে কেন্দ্রীভূত। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার দাবিতে এই বিক্ষোভ। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেন, যার জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

হিংসাতে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন পরিবেশবিদ সোনাম ওয়াংচুক। এতে চারজনের মৃত্যু হয় এবং ১৫০-এর বেশি আহত। তারপর থেকে লেহে কারফিউ জারি, মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ এবং লাদাখের অন্যান্য অংশে, যেমন কার্গিলে, সমাবেশ নিষেধাজ্ঞা চলছে। পর্যটন খাতে এই সংকটের প্রভাব পড়েছে বেশি।

খাদ্য নেই, ভরসাও নেই! পাকিস্তানের ভাঙা চালচিত্র তুলে ধরছে আটার মূল্যবৃদ্ধি

এখন লেহের হোটেলগুলিতে পর্যটকরা আটকে আছেন। এক হোটেল কর্মী শ্রুতি বলেন, “আমরা লাদাখের পর্বতমালা এবং মঠ দেখাতে চাই, কিন্তু এখন সবাই ঘরে বন্দি। বুকিং বাতিল হচ্ছে, আমাদেরও কষ্ট হচ্ছে।” সোনাম ওয়াংচুকের অনশন আন্দোলন এই বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছে। তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা বিক্ষোভকারীদের আরও ক্ষুব্ধ করেছে।