‘পদপিষ্টের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে’! ‘কুম্ভ নিয়ে হেমার মন্তব্যে জোর বিতর্ক

নয়াদিল্লি: কুম্ভে ঘটে গিয়েছে বিপর্যয়৷ পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ জনের৷ এই ঘটনায় যোগী প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা৷ কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান…

Kumbh stampede not that big Hema Malini

নয়াদিল্লি: কুম্ভে ঘটে গিয়েছে বিপর্যয়৷ পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ জনের৷ এই ঘটনায় যোগী প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা৷ কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব৷ তাঁর বিরোধিতা করে পাল্টা সরব হন অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী৷ তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে৷ এটা এত বড় কোনও ঘটনা নয়।’’  হেমার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড়৷ 

এদিন সপা নেতা অখিলেশ যাদবকে মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়ে হেমা বলেন, ‘‘ওঁর কাজই হল মিথ্যা কথা বলা। আমরাও কুম্ভমেলায় গিয়েছিলাম। হ্যাঁ, একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কিন্তু সেটা এমন কিছু বড় ঘটনা নয়। কুম্ভের ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে৷’’ 

   

তিনি আরও বলেন, “উত্তরপ্রদেশ সরকার মহাকুম্ভ মেলা খুব ভালোভাবে পরিচালনা করছে। এত বিশাল মেলা, এত মানুষ আসছেন, এটা সত্যিই অনেক কঠিন, তবে আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সবকিছু খুব ভালোভাবে করা হচ্ছে।”

এদিকে, আখিলেশ যাদব মহাকুম্ভে ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর তদাবি, সরকার প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা গোপন করছে। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে আখিলেশ বলেন, “সরকার বাজেটের পরিসংখ্যান দিচ্ছে, মহাকুম্ভে কতজন মারা গিয়েছেন, সে বিষয়েও সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত। আমি দাবি করছি, মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হোক। কুম্ভের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার কেন্দ্রের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দেওয়া উচিত।”

আখিলেশ আরও বলেন, “মহা কুম্ভের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং যারা সত্যি চাপা দিয়ে রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।” তাঁর প্রশ্ন,  যাঁরা ডিজিটাল কুম্ভ বলে দাবি করছেন, তাঁরা কেন পদপিষ্টের মৃত্যুর সংখ্যা দিতে পারছেন না৷ 

পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ও। গত শনিবার সস্ত্রীক কুম্ভে গিয়ে পুণ্যস্নানে সেরেছেন তিনি। রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল বলেন, দুর্ঘটনা কারও হাতে থাকে না। সেটা ঘটে যায়। কিন্তু কত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল, সেটই দেখার বিষয়৷