সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিতে ধাক্কা দেয় কুম্ভগামী বাস

মঙ্গলবার সকাল বেলা আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে আবারও একটি দুর্ঘটনা ঘটল। বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত ডুবুরডিহি চেকপোস্টের কাছে একটি কুম্ভগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে…

Kumbh Pilgrims' Bus Involved in Accident Again on Asansol's 19 Number Highway

short-samachar

মঙ্গলবার সকাল বেলা আসানসোলের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে আবারও একটি দুর্ঘটনা ঘটল। বাংলা এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্তে অবস্থিত ডুবুরডিহি চেকপোস্টের কাছে একটি কুম্ভগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় বাসের মধ্যে থাকা ১৫ জন পুণ্যার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তারা চিকিৎসাধীন।

   

এই দুর্ঘটনা ঘটেছে যখন বাসটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার পাহাড়পুর থেকে কুম্ভমেলায় যাচ্ছিল। ঘটনাটি ঘটেছে সকালে, তবে কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বাসের যাত্রী সঞ্জয় রায় জানান, এদিন বাসটি ঠিক সময়মতো এগরা থেকে ছাড়েনি এবং বাস চালক মদ্যপ ছিলেন এমন অভিযোগও করেন তিনি। সঞ্জয় জানান, “বাসটি একাধিকবার অদূরে থাকা বাইক ও একটি স্কুল বাসকে ঘেঁষে চলে যায়। আমরা বারবার চালককে সতর্ক করেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। এরপর চেকপোস্টের কাছে এসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরির পেছনে ধাক্কা দেয়।” সঞ্জয়ের মতে, এই দুর্ঘটনার ফলে প্রায় সকল যাত্রীই আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটে গেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। কুলটি থানার পুলিশ ও কুলটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত, পুলিশ এই দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেনি, তবে চালকের মদ্যপান এবং বাসটির গতির বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার পর বাসের গতি এবং চালকের মদ্যপান বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে, বাসের যাত্রীদের মতে, এটি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা এবং এটি ঘটেছে শুধুমাত্র চালকের অসতর্কতা এবং মদ্যপ অবস্থার কারণে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বাসটি এর আগে একটি বাইককে ধাক্কা দিয়েছিল এবং স্কুল বাসের কাছ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, যা বাসের চালকের অসতর্কতা এবং অতিরিক্ত গতি চালানোর প্রমাণ দেয়। কুম্ভমেলা যাত্রীদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, কিছু ব্যক্তিগত ত্রুটির কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

এখন পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার তদন্তে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হবে।

এ ধরনের দুর্ঘটনা কেবল যাত্রীদের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে ফেলছে না, বরং আরও অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। এই ঘটনার পর অনেকেই বাস পরিবহন সংস্থার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলছেন। কুম্ভমেলার মতো বিশাল আয়োজনে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা উচিত ছিল, কিন্তু এই দুর্ঘটনা সেই ধারণার সঙ্গে যায় না।