‘জয় হিন্দ স্যার..’ কেউ একজন রক্ষী তাঁর উর্ধতন কমান্ডারকে এমনই বলছেন। কথা বলতে বলতে তিনি যে ভিডিও তুলেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও সার সার মৃতদেহ। এই ছবি জাতি সংঘর্ষ কবলিত রক্তাক্ত (Manipur) মণিপুরের।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন এই রাজ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সবথেকে বড় জঙ্গি দমন খতম প্রত্যাঘাত সফল হয়েছে। পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো রাজ্যের কুকি জাতির সশস্ত্র সংগঠনের বলে দাবি করা হয়েছে।ঘটনাস্থল রাজ্যের জিরিবাম জেলা। মণিপুরের এই জেলাটি বাংলাভাষী অধ্যুষিত।
এই জিরিবাম জেলাতে জঙ্গি হামলা হয়। সেই হামলা রুখেছে (CRPF) সিআরপিএফ। কমপক্ষে ১১ জঙ্গি নিহত। সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে জিরিবাম জেলার বোরোবেকরা মহকুমার জাকুরাধোর করোং-এ সংঘর্ষ হয়। জানা যাচ্ছে, সিআরপিএফ ক্যাম্প ঘিরে হামলা করেছিল জঙ্গিরা। তাদের নিকেশ করে রক্ষীরা।
সংঘর্ষস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রকেট লঞ্চারসহ বাজেয়াপ্ত করা আগ্নেয়াস্ত্র রাখা আছে। একপাশে সার সার হামলাকারী মৃতদেহ।
রক্তাক্ত মণিপুর। গত দেড় বছরের বেশি সময়ে বিজেপি শাসিত মণিপুরের দুই প্রধান জনগোষ্ঠী মেইতেই ও কুকি পরস্পরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত। শত শত নিহত। বিরোধী দল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি আমলে এ রাজ্যে জাতি সংঘর্ষের জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে।
মণিপুরের সন্ত্রাস কবলিত একটি জেলা জিরিবাম। এই জেলার সিংহভাগ বাসিন্দা বাংলাভাষী। অর্থাৎ তারা মণিপুরী-বাঙালি। জাতি সংঘর্ষের মাঝে পড়ে তারা বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন। জিরিবামের লাগোয়া পড়শি রাজ্য অসমের বাংলাভাষী এলাকা হলো কাছাড় জেলা। মণিপুর থেকে ঘরছাড়া বাংলাভাষীদের স্রোত আসছে অসমের দিকে।
কুকি বিদ্রোহীরা জিরিবামের একটি থানায় দুই দিক থেকে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করে। থানার পাশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য একটি ত্রাণ শিবির রয়েছে। হামলাকারীরা শিবিরকেও লক্ষ্যবস্তু করতে চেয়েছিল। সেই হামলা রুখে দেওয়া গেছে।জিরিবামের পরিস্থিতি রক্তাক্ত। চলছে তল্লাশি। মণিপুর পুলিশ আরও বজ় অভিযান করবে।