মাত্র তিন ঘণ্টায় কলকাতা থেকে চেন্নাই! তাও আবার ৬০০ টাকায়। কল্পনার মতো শুনতে লাগলেও এই স্বপ্ন শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হবে। এই বিস্ময়কর দাবি করেছে ওয়াটারফ্লাই টেকনোলজিস (Waterfly Technologies)। এটি IIT Madras-এর ইনকিউবেশন সেলের সমর্থন পাওয়া একটি স্টার্ট-আপ।
এই খবরে বেশ মুগ্ধ ব্যবসায়ী আনন্দ মাহিন্দ্রা (businessman Anand Mahindra)। তিনি মন্তব্য করেছেন যে আইআইটি মাদ্রাজ স্টার্ট-আপের প্রচারের ক্ষেত্রে সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে বলে মনে হচ্ছে। এই নতুন আবিষ্কার সম্পর্কে তার পোস্টটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে আনন্দ মাহিন্দ্রা লিখেছেন, “প্রায় প্রতি সপ্তাহে একটি নতুন প্রযুক্তি উদ্যোগের খবর থাকে। আমি এটি সম্পর্কে যা পছন্দ করেছি তা কেবল আমাদের বিশাল জলপথগুলিকে কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতিই নয়, তবে এই যানটির নকশাটি দারুণ!”
IIT Madras promises to rival silicon valley in terms of nurturing startups…!
Almost every week there’s news of a new ‘TechVenture’
What I like about this one is not just the promise of exploitation of our vast waterways, but the fact that the design of the craft is stunning!… https://t.co/UttbRFYQGW
— anand mahindra (@anandmahindra) February 25, 2025
এর আগে, Aero India 2025-এ, কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা হর্ষ রাজেশ বলেন যে তারা বৈদ্যুতিক সী-গ্লাইডার ব্যবহার করে এই যাত্রাটিকে সস্তা এবং দ্রুততর করার পরিকল্পনা করছেন। এগুলি হবে উইং-ইন-গ্রাউন্ড (WIG) কারুশিল্প যা জল থেকে উড়ে চার মিটার উচ্চতায় উড়ে যায়।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি যোগ করেছেন, “কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত ১৬০০ কিলোমিটার যাত্রা সিট প্রতি মাত্র ৬০০ টাকায় সম্পূর্ণ করা যেতে পারে, যা একটি এসি থ্রি-টায়ার ট্রেন টিকিটের চেয়ে সস্তা।”
বর্তমানে প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। Aero India-তে কোম্পানিটি শুধুমাত্র তার ডিজাইন উপস্থাপন করেছে। ১০০ কেজি ওজনের প্রথম প্রোটোটাইপ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ একটি এক টন ওজনের প্রোটোটাইপ উড়তে সক্ষম হবে। কোম্পানির লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে একটি ২০-সিটার মডেল তৈরি করা, যা চেন্নাই থেকে কলকাতায় ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে।
আইআইটি মাদ্রাজ এই প্রকল্পের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। সংস্থাটি এখন প্রতিরক্ষা খাত থেকে আরও তহবিল সংগ্রহ করতে চাইছে। ভবিষ্যতে, এই প্রযুক্তি কার্গো শিপিং এবং নজরদারি অপারেশনেও প্রয়োগ করা যেতে পারে।