ভারতের সুখোই Su-30 যুদ্ধবিমানকে পাকিস্তান কেন এত ভয় পায়?

Sukhoi-30 MKI

Sukhoi fighter jet: ভারতের বায়ু শক্তি সম্পর্কে বিশ্ব অবগত। সম্প্রতি, অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সময়, যুদ্ধবিমানগুলি তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। তারা কেবল পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিগুলিকেই লক্ষ্যবস্তু করেনি, বরং শত্রু দেশের প্রতিটি আক্রমণকেও ব্যর্থ করে দিয়েছে। যেখানে সুখোই এসইউ যুদ্ধবিমানগুলি সুনির্দিষ্ট আক্রমণ করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন জেনে নিন Su-30 MKI-তে এমন কী বিশেষত্ব আছে যে, এর নাম শুনলেই পাকিস্তান কাঁপে।

Advertisements

ভারতের সুখোই যুদ্ধবিমান কী? 
সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই হল ভারতীয় বায়ুসেনার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বহুমুখী যুদ্ধবিমান, যা রাশিয়ার সুখোই কোম্পানি এবং ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) যৌথভাবে তৈরি করেছে। এই বিমানটি আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমি উভয় ধরণের আক্রমণে সক্ষম। ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ২৫০ টিরও বেশি সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই রয়েছে, যেগুলিকে এর মেরুদণ্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর নাম ‘MKI’ হল রাশিয়ান ভাষায় ‘মডার্নাইজড কমার্শিয়াল ইন্ডিয়ান’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ এটি ভারতের প্রয়োজনের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর শক্তি, পরিসর এবং উন্নত প্রযুক্তি এটিকে আঞ্চলিক যুদ্ধে একটি গেম-চেঞ্জার করে তোলে।

পাকিস্তানের এত ভয় কেন?
পাকিস্তান বায়ুসেনার (PAF) F-16, JF-17, এবং J-35A এর মতো বিমান রয়েছে, কিন্তু সুখোই Su-30 MKI এর তুলনায় এগুলো খুবই দুর্বল। সুখোইয়ের দীর্ঘ পাল্লা, ভারী অস্ত্রের ক্ষমতা এবং উন্নত রাডার এটিকে পাকিস্তানি বিমানের তুলনায় সুবিধাজনক করে তোলে। এটি ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও সজ্জিত, যা ২.৮ ম্যাক গতিতে আক্রমণ করে এবং পাকিস্তানের বিমানবন্দর এবং সামরিক ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে। একই সাথে, পাকিস্তানের শাহীন-২ এবং বাবর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিও সুখোইয়ের সামনে দুর্বল, কারণ এর ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে ভুল নির্দেশ করতে পারে।

Advertisements

সুখোই এসইউ-৩০ এমকেআই কেবল পাকিস্তানেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বায়ু শক্তির প্রতীক। এর উন্নত প্রযুক্তি এবং ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের জোড়া এটিকে একটি শক্তিশালী শক্তিতে পরিণত করে। একই সময়ে, সুখোইতে সাম্প্রতিক আপগ্রেড যেমন দেশীয় সেন্সর এবং উল্কা ক্ষেপণাস্ত্র এটিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।