সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল কেমন হয়? জানুন ভারতের কাছে এমন ক্ষেপণাস্ত্র কটি আছে

Surface to air missiles: সম্প্রতি, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, তখন খবর আসে যে ভারতের সার্ফেস টু এয়ার নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা…

surface-to-air-missile

Surface to air missiles: সম্প্রতি, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়, তখন খবর আসে যে ভারতের সার্ফেস টু এয়ার নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তান বায়ুসেনার একটি F-16 সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এফ-১৬ পাকিস্তানের সারগোধা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে, যা পাকিস্তান বায়ুসেনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি। জানা গেছে যে ভারতীয় SAM (সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল) সারগোধা বিমানঘাঁটির কাছে যুদ্ধবিমানটিকে গুলি করে ধ্বংস করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি, তবে এটি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এগুলো আসলে কী?

Advertisements

শত্রু বিমান বা ক্ষেপণাস্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে ধ্বংস করার জন্য ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ভূমি-থেকে-বাতাস ক্ষেপণাস্ত্র (SAM), রাডার বা ইনফ্রারেড গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রুপক্ষের বায়ু আক্রমণ থেকে স্থল অবস্থান রক্ষা করার জন্য সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (SAM) তৈরি করা হয়েছিল। এটি বিশেষভাবে বায়ু-বিধ্বংসী কামানের পরিসরের বাইরে উড়ন্ত উচ্চ-উচ্চতার বোমারু বিমান থেকে ভূমিকে রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।

   

ভারতের কাছে এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সংখ্যা কত এবং তাদের নাম কী?
ভারতের কাছে আকাশ সহ বিভিন্ন ধরণের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আকাশ হল ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRSO) দ্বারা তৈরি একটি মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র (SAM) ব্যবস্থা।

ভারতীয় বায়ুসেনা (IAF) এবং ভারতীয় সেনা (IA) এর জন্য ক্ষেপণাস্ত্রটির দুটি সংস্করণ তৈরি করা হয়েছে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচটি ২০১৫ সালের মে মাসে আইএ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রথম আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০১২ সালের মার্চ মাসে আইএএফ-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে আইএএফ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

Akash-NG missile

এছাড়াও, ভারতের কাছে বারাক-৮ আছে। ইজরায়েলের সাথে যৌথভাবে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০-১০০ কিলোমিটার পাল্লার বিমান এবং ড্রোন থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

একই সাথে, ভারতেও QRSAM রয়েছে। এর পুরো নাম কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল। স্বল্প-পাল্লার বায়ু প্রতিরক্ষার জন্য তৈরি, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত কৌশলগত এবং চটপটে।