Air Defence: পাকিস্তান অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে আক্রমণের চেষ্টা করেছিল, যা আকাশ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে ব্যর্থ হয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী অমৃতসরে একটি ডেমোর মাধ্যমে দেখিয়েছে কিভাবে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, L-70 এবং অন্যান্য অস্ত্র পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করেছে। আকাশ সিস্টেম একই সাথে ৪০ কিলোমিটার পরিসর এবং ১৮,০০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ আপাতত থেমে গেছে, তবুও এই বিষয়ে প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। এখন এটা প্রকাশ্যে এসেছে যে পাকিস্তান অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল, কিন্তু তারা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং তাদের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সতর্কতার কারণে পাকিস্তানের আক্রমণ ব্যর্থ হয়েছিল। আকাশ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পাঞ্জাবের অমৃতসরে একটি ডেমোও দেখায়, যেখানে তারা আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, L-70 বায়ু প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে স্বর্ণমন্দিরকে আক্রমণ থেকে কীভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছিল তা প্রদর্শন করে। পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ভারত পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষও দেখিয়েছে।
আকাশ একটি মাল্টি টার্গেট হ্যান্ডলিং-মিডিয়াম রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। আকাশ একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, এটি একসাথে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত একাধিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। ‘আকাশ’ ব্যাটারি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ১৮,০০০ মিটার উচ্চতায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আকাশ বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোন, যুদ্ধবিমান, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আকাশ হুমকিকে নিরপেক্ষ করার ক্ষমতা রাখে। এই কারণেই পাকিস্তান ভারতের উপর তাদের কোনও আক্রমণ সফলভাবে চালাতে পারেনি।
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিশেষত্ব হল এটি যেকোনো জায়গায় নেওয়া যায়। ট্রাক বা ট্যাঙ্কের সাহায্যে এটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহন করা হয়। এই বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নত সংস্করণের নাম আকাশ-এনজি।