বিশ্বের বৃহত্তম বায়ুসেনা কোনটি? জেনে নিন কোন স্থানে ভারত

World’s Largest Air Force: যখন দেশগুলির সামরিক শক্তির কথা আসে, তখন বায়ুসেনার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যুদ্ধবিমানগুলি যে কোনও দেশের বায়ু শক্তির সবচেয়ে…

US Air Force

World’s Largest Air Force: যখন দেশগুলির সামরিক শক্তির কথা আসে, তখন বায়ুসেনার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। যুদ্ধবিমানগুলি যে কোনও দেশের বায়ু শক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বজুড়ে বায়ুসেনা ক্রমাগত তাদের নৌবহর শক্তিশালী করছে, কিন্তু কোন দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে এবং এই ‘বিমান যুদ্ধে’ কারা সামনের সারিতে আছে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

আধুনিক যুদ্ধে বিমান বাহিনীর গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুদ্ধবিমান, বোমারু বিমান এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমান যেকোনো দেশের প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণাত্মক ক্ষমতার মেরুদণ্ড। তাদের সংখ্যা, গুণমান এবং পাইলটদের প্রশিক্ষণ – এই সবকিছুই একটি বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করে তোলে।

   

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের বিমান শক্তি বৃদ্ধি, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি এবং পুরনো নৌবহর আপগ্রেড করার জন্য কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছে। কিন্তু, তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম বিমান বাহিনী কোনটি এবং তাদের কাছে কতটি যুদ্ধবিমান আছে? এই তালিকায় কোন দেশগুলি অন্তর্ভুক্ত এবং এতে ভারতের অবস্থান কী, আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে শক্তিশালী বিমান বাহিনী হিসেবে, মার্কিন বিমান বাহিনীর বহরে ৫,০০০ এরও বেশি বিমান রয়েছে, যার মধ্যে হাজার হাজার যুদ্ধবিমান রয়েছে। তাদের কাছে F-15, F-16, F-18 এর মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং F-22 Raptor এবং F-35 Lightning II এর মতো পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এই বিমানগুলি কেবল সংখ্যায় বিশাল নয়, প্রযুক্তিতেও অতুলনীয়।

সংখ্যার দিক থেকে, রাশিয়ার বায়ুসেনাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাদের হাজার হাজার বিমানও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সুখোই (Su-27, Su-30, Su-35) এবং MiG (MiG-29, MiG-31) এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। রাশিয়া তার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান Su-57 ‘ফেলন’-কেও উন্নত রূপ দিচ্ছে।

Advertisements

চিনের বিমান বাহিনী দ্রুত গতিতে আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণ করছে। এটি এখন রাশিয়ার কাছাকাছি চলে আসছে এবং কিছু অনুমান অনুসারে, এমনকি রাশিয়াকেও ছাড়িয়ে গেছে। চিনের কাছে J-10, J-11, J-16 এর মতো বিপুল সংখ্যক যুদ্ধবিমান রয়েছে এবং তারা তাদের ৫ম প্রজন্মের J-20 ‘মাইটি ড্রাগন’ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও ব্যাপকভাবে উৎপাদন করছে।

ভারতীয় বায়ুসেনা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান বাহিনীর মধ্যে একটি এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটি প্রধান বিমান বাহিনী। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে সুখোই এসইউ-৩০এমকেআই, রাফায়েল, মিগ-২৯, মিরাজ ২০০০ এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজাসের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভারত ক্রমাগত তার নৌবহরের আধুনিকীকরণ করছে এবং ভবিষ্যতের জন্য পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরিতেও কাজ করছে। এই তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, পাকিস্তান, মিশর এবং তুরস্কের মতো দেশগুলির বিমান বাহিনীও রয়েছে, যাদের নিজ নিজ অঞ্চলে শক্তিশালী বিমান ক্ষমতা রয়েছে।

ভবিষ্যতের বিমান বাহিনী কেবল যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভর করবে না। এখন ফোকাস করা হচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি বা ড্রোন), এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল) এর মতো প্রযুক্তির একীকরণের উপর। অনেক দেশ তাদের নৌবহর আপগ্রেড করছে এবং নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করছে, যা ভবিষ্যতে বিমান যুদ্ধের প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে বদলে দিতে পারে।