উচ্চ-মাধ্যমিকের পরেই পাইলট হতে চান? অবিলম্বে এই কোর্সটি করুন, কোটি টাকা আয় হবে

Pilot as Career: আকাশে ওড়ার স্বপ্ন কে না দেখে? কেউ কেউ পেশাদার পাইলট হয়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ করেন। একজন পাইলটের কাজকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে…

Pilot

Pilot as Career: আকাশে ওড়ার স্বপ্ন কে না দেখে? কেউ কেউ পেশাদার পাইলট হয়ে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ করেন। একজন পাইলটের কাজকে বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হয়। এছাড়া এটি সবচেয়ে গ্ল্যামারাস চাকরির মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত। বেশিরভাগ যুবক দ্বাদশ শ্রেণির পর পাইলট হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে। একজন পাইলটের কাজের প্রোফাইল বেশ চমৎকার। তাদের অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বেতন লাখ থেকে কোটিতে পরিবর্তিত হয়।

একজন পাইলট হওয়ার জন্য সঠিক যোগ্যতা এবং বিশেষ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এজন্য বিজ্ঞান বিভাগেও দ্বাদশ পাশ করা বাধ্যতামূলক। পাইলট প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই আপনি চাকরি পাবেন। অনেক ধরনের পাইলট রয়েছে এবং তাদের প্রশিক্ষণও বিভিন্ন উপায়ে করা হয়। একজন পাইলটের বেতন তার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। তবে তাদের শুরুর বেতনও লাখে।

   

How to become pilot after 12th: 12 তম এর পর কীভাবে পাইলট হবেন?
12 তম এর পরে পাইলট হওয়ার জন্য, আপনি নীচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন। যেকোনো পাইলট প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে বিশদ বিবরণ চেক করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Pilot Qualification and Eligibility:
Step 1: যোগ্যতা
– পাইলট কোর্স করতে হলে দ্বাদশ শ্রেণীতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত বিষয়ে ভাল নম্বর পেতে হবে।

বয়স 17-24 বছরের মধ্যে হতে হবে (পাইলট বয়স সীমা)।
– উচ্চতা 157 সেন্টিমিটারের বেশি হতে হবে।
– ওজন উচ্চতার অনুপাতে হওয়া উচিত।
– ভাল দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণ ক্ষমতাও পরীক্ষা করা হয়।

Step 2: প্রবেশিকা পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণ
– SGPCA (স্কুল অফ গ্লোবাল পাইলট ক্যারিয়ার একাডেমী), ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল এভিয়েশন একাডেমী (IGRUA) বা অন্যান্য স্বীকৃত ফ্লাইট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।
– বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স (CPL) কোর্সে ভর্তির জন্য, একজনকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
– CPL কোর্সের সময়কাল সাধারণত 18-24 মাস হয়।

Step 3: লাইসেন্স এবং সার্টিফিকেশন
– CPL কোর্স শেষ করার পর, আপনাকে DGCA (Directorate General of Civil Aviation) থেকে CPL লাইসেন্স পেতে হবে।
– বিমানে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিকেল সার্টিফিকেটও নিতে হবে।

Step 4: অভিজ্ঞতা এবং চাকরি
– পাইলট হিসাবে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে, একটি ফ্লাইট ইনস্টিটিউট বা এয়ারলাইনে ইন্টার্নশিপ করুন।
– বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে চাকরির জন্য আবেদন করুন।

Pilot Jobs: পাইলটের চাকরির জন্য কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন?
– 10 তম এবং 12 তম মার্কশিট।
– বয়সের শংসাপত্র।
– মেডিকেল সার্টিফিকেট।
– পাসপোর্ট।

Pilot Training Fees: পাইলট কোর্সের ফি কত?
– প্রবেশিকা পরীক্ষার ফি: ₹ 5,000 থেকে ₹ 50,000।
– CPL কোর্স ফি: ₹5 লক্ষ থেকে ₹20 লক্ষ।
– ফ্লাইট ট্রেনিং ফি: ₹2 লক্ষ থেকে ₹10 লক্ষ।

Pilot Salary: একজন পাইলটের বেতন কত?
– ফ্রেশার পাইলট: বার্ষিক 10 লক্ষ থেকে 15 লক্ষ টাকা
– অভিজ্ঞ পাইলট: বার্ষিক 65 লক্ষ থেকে 1 কোটি টাকা।

Pilot Course: পাইলট হতে কতক্ষণ লাগে?
পাইলট হওয়ার জন্য, একজনকে একটি ফ্লাইং ক্লাবে ভর্তি হতে হবে, যা ভারত সরকারের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল (DGCA) দ্বারা স্বীকৃত। এর পাশাপাশি, শিক্ষার্থীকে পাইলট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে এবং প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর ফ্লাইট ট্রেনিং শেষ করতে হবে। ভারতে পাইলট হতে 2 থেকে 3 বছর সময় লাগে। কিন্তু বিদেশে গিয়ে পাইলট হতে চাইলে ১ বছরই যথেষ্ট।