World’s Heaviest Gun: যেকোনো যুদ্ধে অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একইভাবে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক অস্ত্র তৈরি করা হয়েছিল। তবে, খুব কম লোকই জানেন যে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুকটিও একই সময়ে তৈরি হয়েছিল।
অস্ত্র যেকোনো দেশের শক্তির প্রতীক। পৃথিবীতে অনেক ধরণের অস্ত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুক কোনটি ছিল? এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুক সম্পর্কে জেনে নিন। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত হয়েছিল।
বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুকটি আর কেউ নয়, Schwerer Gustav, যা ‘হেভি গুস্তাভ’ বা ‘গ্রেট গুস্তাভ’ নামেও পরিচিত। এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুক।
শোয়েরার গুস্তাভ, যা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বন্দুক, এর ওজন ছিল প্রায় ১,৩৫০ টন। যদি আমরা এই ১,৩৫০ টন বন্দুকটি তোলার কথা বলি, তাহলে এর জন্য প্রায় ৪৫,০০০ লোকের প্রয়োজন হবে। কারণ একজন স্বাভাবিক মানুষ ৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন তুলতে সক্ষম। এছাড়াও, এই বন্দুকের ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ছিল 30 মিটার (প্রায় 98 ফুট) এবং এর ক্যালিবার ছিল 80 সেন্টিমিটার (31 ইঞ্চি)।
Schwerer Gustav একটি জার্মান বন্দুক। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নির্মিত হয়। এই বন্দুকগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল যাতে শক্তিশালী দেওয়াল ভেঙে ফেলা যায়। এটি এমনকি গোলাগুলিও ছুঁড়তে পারে। এছাড়াও, তাদের লক্ষ্য ছিল সমুদ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত সেভাস্তোপল ধ্বংস করা।
শোয়েরার গুস্তাভকে একত্রিত করতে প্রায় ৩ দিন সময় লেগেছিল। যেখানে ২৫০ জন লোকের প্রয়োজন ছিল। এছাড়াও, এটি চালানোর জন্য একটি ট্রেন ব্যবহার করা হয়েছিল। একই সাথে, এই বন্দুক থেকে একদিনে ১৪ রাউন্ড গুলি চালানো যেত।
যুদ্ধের শেষে, ১৯৪৫ সালে জার্মানরা নিজেরাই শোয়েরার গুস্তাভকে ধ্বংস করে দেয় যাতে এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলে না যায়। পরবর্তীতে, মিত্র দেশগুলি এর অবশিষ্টাংশও ধ্বংস করে দেয়।