Typhon Missile: টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি বিবেচনা করা হয়। স্থল থেকে উৎক্ষেপণ করা এই ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই আকাশ, সমুদ্র এবং স্থলে শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম। আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি কেবল গতিতেই নয়, বরং পরিসীমা এবং বহু-লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতার দিক থেকেও অতুলনীয়। শত্রু যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র তাদের সনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে পারে।
টাইফুনে লাগানো টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার (১,০০০ মাইল) বলে জানা গেছে, তাই এটি স্বল্প-পাল্লার এবং খুব দীর্ঘ-পাল্লার মধ্যে ব্যবধান কভার করে। টাইফন এসএম-৬ ক্ষেপণাস্ত্রও ছুঁড়তে পারে, যা ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) এর বেশি পাল্লার জাহাজ বা বায়ু আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
টাইফুন ধারণা এবং সিস্টেমটি মার্কিন সেনাবাহিনী দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল এবং SM-6 এবং Tomahawk-এর মতো নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, যা মোবাইল গ্রাউন্ড-লঞ্চারে রূপান্তরিত হয়।
টাইফুন সিস্টেমটি মূলত টমাহক (ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র) এবং এসএম-৬ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। টমাহক একটি প্রচলিত ভূমি-আক্রমণকারী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এবং এসএম-৬ একটি বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্র যা ভূমি থেকে আকাশে হামলার জন্য তৈরি।
টাইফুন একটি মোবাইল মিসাইল সিস্টেম যা দ্রুত মোতায়েন করা যায়। এটি স্থল থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে এবং স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে পারে, যার ফলে দীর্ঘ পাল্লার (টমাহক – ১,৬০০ কিমি) আঘাত হানতে সক্ষম। এটি আধুনিক কমান্ড সিস্টেমের সাথে একীভূত হয় যাতে দ্রুত এবং আরও নির্ভুল পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
টাইফুনটি SMRF নামক একটি দূরপাল্লার নির্ভুল অগ্নিনির্বাপণ কর্মসূচির অংশ। SM-6 এবং Tomahawk উভয় রূপের সফল উৎক্ষেপণ ২০২৩ সালে হয়েছিল। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে, টাইফুন ব্যাটারি ফিলিপাইনে মোতায়েন করা হয় এবং সেখানে প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন পরিচালনা করেছিল। পরবর্তীতে, অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গাগুলিতেও মহড়া পরিচালিত হয় এবং ২০২৪-২৫ সালে কিছু দেশ এই ব্যবস্থায় আগ্রহ দেখাচ্ছে।
টাইফুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো চিনের বাড়তে থাকা প্রভাব মোকাবিলা করা, মার্কিন সেনাবাহিনীর দূরপাল্লার নির্ভুল আঘাত হানার ক্ষমতার অভাব মোকাবেলা করা এবং শত্রু রেখার গভীরে আঘাত হানার মাধ্যমে কৌশলগত প্রতিরক্ষা জোরদার করা।