ভারতের ৫টি বিপজ্জনক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, যা শত্রুকে টুকরো টুকরো করে ফেলে!

Top 5 Dangerous Anti-Tank Missiles: শত্রুকে পরাজিত করার জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী এবং উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল তৈরি…

anti-tank missile

Top 5 Dangerous Anti-Tank Missiles: শত্রুকে পরাজিত করার জন্য ভারত তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা জোরদার করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী এবং উন্নত অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল তৈরি করেছে। এগুলো শত্রুর ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে সক্ষম। আসুন জেনে নেওয়া যাক ভারতের ৫টি সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র কোনটি?

নাগ ক্ষেপণাস্ত্রটি ডিআরডিও দ্বারা তৈরি একটি তৃতীয় প্রজন্মের ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল। এটিতে একটি থার্মাল ইমেজিং সিকার ব্যবহার করা হয়েছে, যা দিনরাত এবং সমস্ত আবহাওয়ায় কাজ করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ৪-৫ কিমি। এটি টপ-অ্যাটাক প্রযুক্তিতে কাজ করে। এটি ট্যাঙ্কের সবচেয়ে দুর্বল অংশ অর্থাৎ উপরের টাওয়ারকে লক্ষ্য করে আঘাত হানতে পারে।

   

আমোঘা-৩ হল ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড দ্বারা তৈরি একটি তৃতীয় প্রজন্মের মানুষ বহনযোগ্য অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল। এই মিসাইলটি কাঁধ, ট্রাইপড বা যানবাহন থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এই মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২-৩ কিমি।

এটি রাশিয়ান উৎপত্তির একটি লেজার-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভারত টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্কের জন্য বেছে নিয়েছিল। এটি ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড দ্বারা তৈরি। এর পাল্লা ৫ কিলোমিটার। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারী সাঁজোয়া যান ধ্বংস করতে সক্ষম।

Advertisements

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইজরায়েল তৈরি করেছে, যা ভারতেরও আছে। এটি ম্যান-পোর্টেবল এবং ট্রাইপড-ভিত্তিক উভয়ভাবেই ব্যবহার করা যেতে পারে। এর পাল্লা ৫.৫ কিমি। এটি ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট, টপ-অ্যাটাক এবং ডাইরেক্ট-অ্যাটাক মোড প্রযুক্তিতে কাজ করে।

রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর BMP-2 পদাতিক যুদ্ধযানে মোতায়েন করা হয়। এর পাল্লা ৪-৫ কিমি। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি তার-নির্দেশিত সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম।