MQ-9B ড্রোন কী? ভারতে আসা MQ-9B ‘হত্যাকারী’ ড্রোন চিনের জন্য সমস্যা হয়ে উঠবে!

MQ-9B Drone : ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি নতুন ডানা পেতে চলেছে। আমেরিকা থেকে 31টি MQ-9B ড্রোনের চুক্তি ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আমেরিকা সফরের পর এই চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, মোট ড্রোনগুলির মধ্যে 15টি ড্রোন ভারতীয় নৌবাহিনীকে দেওয়া হবে, বাকি 16টি ড্রোন সেনা ও বায়ুসেনাকে দেওয়া হবে। বলা হচ্ছে 2026 সালে ড্রোনটির প্রথম ডেলিভারি হতে পারে। আসুন MQ-9B ড্রোনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি জেনে নিন।

Advertisements

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমকিউ-৯বি ড্রোনটি তৈরি করেছে জেনারেল অ্যাটমিক্স অ্যারোনটিক্যাল সিস্টেমস (জিএ-এএসআই)। এটি MQ-9 “রিপার” এর একটি রূপ, যা মার্কিন বিমান বাহিনী ব্যবহার করে।

MQ-9B দীর্ঘ সময়ের জন্য উচ্চ উচ্চতায় উড়ে যেতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ৪০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় ৪০ ঘণ্টা উড়তে পারে। ভারত-চিন সীমান্তে তাদের নজরদারির জন্য রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নজরদারির পাশাপাশি এই ড্রোনগুলো দেশকে রক্ষা করতেও সক্ষম। MQ-9B ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত হতে পারে। এটি উচ্চতা থেকেই শত্রু অবস্থানকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করতে পারে। এটি সামুদ্রিক নজরদারিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সাবমেরিনের সাথে যুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে।

Advertisements

MQ-9B ড্রোনের দুটি রূপ রয়েছে। প্রথম – SkyGuardian এবং দ্বিতীয় – SeaGuardian 2020 সাল থেকে ভারতীয় নৌবাহিনী ব্যবহার করছে। MQ-9B এর বিশেষত্ব হল এটি নিজে থেকে টেক অফ এবং ল্যান্ড করতে পারে। এটি দিনে বা রাতে যেকোনো সময় উড়তে পারে। এটি 5670 কেজি পর্যন্ত লাগেজ বহন করতে পারে এবং 2771 কেজি জ্বালানি দিয়ে উড়তে পারে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই চুক্তিটি প্রায় $3.99 বিলিয়ন মূল্যের বলে জানা গেছে, যার মধ্যে 170টি AGM-114R হেলফায়ার মিসাইল, 310 GBU-39B/B বোমা ইত্যাদি রয়েছে।