ভারতীয় বায়ুসেনার বহরে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ফাইটার জেট রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল MiG-21, যাকে ভারতের ‘আন্ডারটেকার’ ফাইটার জেট বললে ভুল হবে না। এটি সেই একই ফাইটার জেট যা দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ বালাকোটে জইশের আস্তানা ধ্বংস করেছিল। এই আক্রমণের মোকাবিলায় পাকিস্তান তার F-16 যুদ্ধবিমান লঞ্চ করে, যা ভারতের MiG-21-এর সামনে এক মুহূর্তের জন্যও দাঁড়াতে পারেনি।
MiG-21 অনেকবার গর্বিত করেছে ভারতকে
MiG-21 বহুবার ভারতকে গর্বিত করেছে। উল্লেখ্য, 1964 সালে MiG-12 একটি সুপারসনিক ফাইটার জেট হিসাবে ভারতীয় বায়ুসেনাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই যুদ্ধবিমানগুলি রাশিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল। ভারত এগুলোকে একত্রিত করার অধিকার এবং প্রযুক্তি অর্জন করে, তারপরে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) 1967 সালে মিগ-21 যুদ্ধবিমানের উৎপাদন শুরু করে। অন্যদিকে, রাশিয়া 1985 সাল থেকে এটির উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল, অন্যদিকে, ভারত ক্রমাগত তার আপগ্রেড ভেরিয়েন্টগুলি ব্যবহার করে চলেছে।
60টি দেশ ব্যবহার করে
এটি উল্লেখযোগ্য যে 1959 সালে, মিগ-21 ছিল সেই সময়ের দ্রুততম হাইপারসনিক ফাইটার জেটগুলির মধ্যে একটি। এমনকি আমেরিকাও এর গতির কারণে ভয় পেয়েছিল। বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে এটিই একমাত্র ফাইটার জেট ব্যবহার করা হয়।
অনেক যুদ্ধে সমর্থিত
2019 সালে বালাকোট বিমান হামলা ছাড়াও, 1971 এবং 1999 সালে পাকিস্তানের সঙ্গে কার্গিল যুদ্ধের সময়ও মিগ-21 গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। MiG-21 Bison ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট হল MiG-21 এর একটি আপগ্রেডেড সংস্করণ।
যাইহোক, এই সংস্করণটি শুধুমাত্র ভারতীয় বায়ু সেনাতে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য দেশ শুধুমাত্র এর বিভিন্ন রূপ ব্যবহার করে।
MiG-21 এর বৈশিষ্ট্য
- Mach 2 এর বেশি গতি মিগ-21 কে শত্রুকে এড়াতে এবং আক্রমণ করতে সক্ষম করে।
- এর উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ F-16 বা MiG-29-এর মতো ফাইটার জেটের চেয়ে কম ছিল।
- এর রক্ষণাবেক্ষণ বেশ সহজ। এর সহজ নকশা প্রযুক্তিবিদদের দ্রুত মেরামত করতে সাহায্য করেছে।
- MiG-21 60 বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দেশের বিমান বাহিনীতে কার্যকর।
- রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মতো নতুন প্রযুক্তির সাথে সময়ে সময়ে MiG-21 আপগ্রেড করা যেতে পারে।
- MiG-21 এর লাইটওয়েট গঠন এটিকে ছোট বিমানবন্দর থেকেও উড়তে সক্ষম করে তোলে।