Military Service: ভারতের প্রতিটি কোণ থেকে প্রতিটি মানুষ তার জীবনে অন্তত একবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরতে চায়। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ যুবক ভারতীয় সেনা (Indian Army), নৌবাহিনী (Indian Navy) এবং বায়ুসেনাতে (Indian Air Force) যোগদানের জন্য কঠিন পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে সেনাবাহিনীতে যোগদান করা বাধ্যতামূলক। কিছু দেশে, সামরিক পরিষেবা প্রদানের জন্য আইন করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন দেশে সামরিক পরিষেবা দেওয়া বাধ্যতামূলক এবং ভারতে এর নিয়মগুলি কী কী।
ইজরায়েল-দক্ষিণ কোরিয়ায় বাধ্যতামূলক
ইজরায়েল চারদিক থেকে তার শত্রুদের দ্বারা বেষ্টিত, তবুও শক্তভাবে দাঁড়িয়ে আছে। ইজরায়েলে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সামরিক চাকরি বাধ্যতামূলক। এখানে পুরুষদের ৩২ মাস এবং মহিলাদের ২৪ মাস সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হয়। কম জনসংখ্যার দেশ হওয়ায় ইজরায়েল তার নিরাপত্তা নীতির অংশ হিসেবে এই নিয়ম বাস্তবায়ন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সর্বদা যুদ্ধের কবলে থাকা ইজরায়েলের জন্য এই নিয়ম জরুরি।
যদি আমরা দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বলি, তাহলে ১৮ থেকে ২১ মাস সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে হবে। এই নিয়ম একচেটিয়াভাবে পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য, যদিও কিছু অলিম্পিক এবং এশিয়ান গেমস বিজয়ী বা শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ও ইরানে বাধ্যতামূলক
উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বের দৃষ্টি থেকে দূরে রাখা কিম জং উন একজন স্বৈরশাসক হিসেবে স্বীকৃত। প্রতিদিন নতুন নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করছেন কিম জং। এমতাবস্থায় তারা একটি আইন করেছে যে উত্তর কোরিয়ার প্রত্যেক নাগরিককে সামরিক চাকরি দিতে হবে। উত্তর কোরিয়ায়, পুরুষদের জন্য ১০ বছর এবং মহিলাদের জন্য ২৩ বছর বয়স পর্যন্ত সামরিক চাকরি করা বাধ্যতামূলক। এই দেশের সংবিধান অনুসারে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা নাগরিকদের সর্বোচ্চ দায়িত্ব এবং সম্মান, নাগরিকদের উচিত দেশকে রক্ষা করা এবং আইন অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীতে কাজ করা।’
ভারতে সামরিক পরিষেবার নিয়মগুলি কী কী?
ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক শক্তি। ভারতে মোট সেনা সংখ্যা প্রায় 14.5 লক্ষ, যেখানে 11.5 লক্ষ সংরক্ষিত সেনা। অন্যদিকে, আমরা যদি ভারতের সামরিক চাকরির নিয়মের কথা বলি, তাহলে ভারতে সামরিক বাহিনীতে যোগদান সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায়, অর্থাৎ দেশের যেকোনো নাগরিক নিজ ইচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন।