Indian Missiles 2024: প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা- ডিআরডিও মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো একটি মোবাইল আর্টিকুলেটেড লঞ্চার থেকে লং রেঞ্জ ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল (এলআরএলএসিএম) সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ওড়িশার চাঁদিপুর কেন্দ্র থেকে পরিচালিত এই পরীক্ষায়, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করেছে এবং তার লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি দীর্ঘ পাল্লায় স্থলভিত্তিক লক্ষ্যবস্তুতে নিযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার শক্তি আরও বেড়েছে। এ বছর ভারতে আরও অনেক ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্কের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জানুন ক্ষেপণাস্ত্রের সাফল্যের গল্প।
1. অগ্নি-5 মিসাইল
11 মার্চ, 2024-এ, ভারত সফলভাবে তার দূরপাল্লার অগ্নি-5 ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এমআইআরভি প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা একযোগে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করার ক্ষমতা প্রদান করে। এই পরীক্ষা ভারতের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত এবং প্রযুক্তিগত শক্তি দেখায়।
2. নতুন অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল
সম্প্রতি, ভারত 1,000 কিলোমিটার পাল্লার একটি দীর্ঘ-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে, যা শত্রুর যুদ্ধজাহাজ এবং বিমানবাহী রণতরীকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
3. অগ্নি-4 মিসাইল
অগ্নি-4 ক্ষেপণাস্ত্র হল একটি মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (IRBM), যা ভারত দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, যা 4,000 কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র এক টন পর্যন্ত পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্র বহন করতে পারে। ক্ষেপণাস্ত্রের মূল উদ্দেশ্য ভারতের কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ভারতে অগ্নি-4 ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা 6 সেপ্টেম্বর 2024 সালে ওড়িশার চাঁদিপুরে অবস্থিত ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) থেকে পরিচালিত হয়েছিল।
4. জোরাবর ট্যাংক
জোরাবর ট্যাঙ্ক হল একটি হালকা এবং বহুমুখী ট্যাঙ্ক যা ভারত দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, যা ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রয়োজন মেটাতে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্যাঙ্কটি উচ্চ উচ্চতা এবং কঠিন পাহাড়ী এলাকায় অপারেশনের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত। এর লাইটওয়েট নির্মাণ এটিকে কঠিন ভূখণ্ডেও উচ্চ গতি এবং চালচলন প্রদান করে। জোরাবর ট্যাঙ্কটি চিন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জোরাভার ট্যাঙ্কটি 13 সেপ্টেম্বর 2024 সালে রাজস্থানের মরুভূমিতে ভারতে সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়।
5. অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল
অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলগুলি শত্রুর ট্যাঙ্ক এবং আর্মার্ড যান ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে হালকা ওজনের, উচ্চ প্রাণঘাতী এবং নির্ভুলতার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যা কঠিন এলাকায় এবং রাতেও কার্যকর করে তোলে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধুনিক যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে এবং সীমান্তের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারত 13 আগস্ট 2024 সালে রাজস্থানের পোখরান ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে দেশীয়ভাবে তৈরি ম্যান পোর্টেবল অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (MP-ATGM) সফলভাবে পরীক্ষা করে।