Kamikaze Drone India: ভারতের নতুন কামিকাজে ড্রোন ‘কিলার ড্রোন’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কামিকাজে ড্রোনগুলি লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোন নামেও পরিচিত। এই ড্রোন তৈরির প্রযুক্তি ইউক্রেন এবং গাজার মতো সংঘর্ষ থেকে অনুপ্রাণিত। ভারত দেশীয় ড্রোন প্রযুক্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এই ড্রোনটিও যে স্বনির্ভরতার প্রচার করেছে তার প্রমাণ।
কীভাবে এই ড্রোন হামলা হয়?
কামিকাজে ড্রোন একটি মানবহীন এরিয়াল ভেহিকেল (UAV)। এটি লক্ষ্যবস্তুর উপর ঘোরাফেরা করে এবং সঠিক সময় দেখে হঠাৎ আক্রমণ করে। এর বিশেষত্ব হল এটি প্রচলিত মিসাইলের মতো সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে যায় না, তবে লক্ষ্যবস্তুকে ট্র্যাক করে এবং সুযোগ পেলেই বিস্ফোরক দিয়ে আঘাত করে।
এআই দ্বারা চালিত
সারা বিশ্বে AI এর প্রবণতা বাড়ছে। অস্ত্র চালানোও শুরু করেছে। কামিকাজে ড্রোনও এআই দ্বারা পরিচালিত হয়। এই ড্রোনগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিশন সম্পূর্ণ করতে পারে। এতে মানুষের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন কম।
এর দাম মাত্র 41,000 টাকা
রিপোর্ট অনুসারে, এই ড্রোনগুলির দাম প্রায় 500 ডলার (প্রায় 41,000 টাকা), যখন তারা 10 মিলিয়ন ডলার (প্রায় 83 কোটি টাকা) মূল্যের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে পারে। এই ড্রোনগুলি কেবল সস্তা নয়, তবে তাদের শক্তি তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে গেম-চেঞ্জার করে তোলে।
কীভাবে একজন 10 মিলিয়ন ডলারের ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে?
আমেরিকার M1 Abrams বা রাশিয়ার T-90 এর মত একটি আধুনিক ট্যাঙ্ক, যার দাম 8-10 মিলিয়ন ডলার।কিন্তু কামিকাজে ড্রোন ট্যাঙ্কের উপরের বর্ম আক্রমণ করে, কারণ এটি সাধারণত সবচেয়ে পাতলা হয়। এফপিভি প্রযুক্তির কারণে, এই ড্রোন ট্যাঙ্কের সংবেদনশীল অংশ যেমন ইঞ্জিন, জ্বালানী ট্যাঙ্ক বা গোলাবারুদ স্টোরকে লক্ষ্য করে। এতে বিস্ফোরণ বা আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ কারণে ট্যাংকগুলোও ধ্বংস হয়ে যায়।