Astra Mk-3 Gandiva: ভারত তার সামরিক শক্তি বাড়াতে ক্রমাগত বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে ভারত শীঘ্রই Astra Mk-III ক্ষেপণাস্ত্রের (Gandiva মিসাইল) বায়ু পরীক্ষা করতে চলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের সুপার ওয়েপনও বলা হয়। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের।
‘গান্ডিব’ নামটি কোথা থেকে এসেছে?
Astra Mk-III ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে। Astra Mk-III ‘Gandiva’ নামেও পরিচিত, নামটি মহাভারতের বিখ্যাত ধনুক ‘Gandiva’ থেকে অনুপ্রাণিত, যা ছিল অর্জুনের অস্ত্র। এটি Astra ক্ষেপণাস্ত্র পরিবারের অংশ, যার মধ্যে Astra Mk-I এবং Astra Mk-IIও রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিকাশ 2000 এর দশক থেকে চলছে, এটি 2025-26 সালের মধ্যে ভারতীয় সেনাতে যোগ দিতে পারে।
Astra Mk-III ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য
রেঞ্জ: Astra Mk-III মিসাইলের সর্বোচ্চ রেঞ্জ 340 কিলোমিটারেরও বেশি। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম পাল্লার আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের একটি। চিন ও পাকিস্তান ভারতের প্রতিবেশী দেশ, তারা এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ নিয়ে ভীত।
গতি: Astra Mk-III ক্ষেপণাস্ত্রের গতি Mach 4.5 (প্রায় 5,555 কিমি/ঘন্টা) পর্যন্ত হতে পারে, যা এটিকে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের সাথে প্রতিযোগিতায় ফেলে।
ওয়ারহেড: Astra Mk-III মিসাইল একটি 15 কেজি উচ্চ-বিস্ফোরক প্রাক-খণ্ডিত ওয়ারহেড বহন করে। এটি প্রক্সিমিটি ফিউজ দ্বারা সক্রিয় হয়, এটিকে আরও প্রাণঘাতী করে তোলে।
উচ্চতা: Astra Mk-III ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ 20 কিলোমিটার (66,000 ফুট) উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এটি এখান থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
নো-এস্কেপ জোন (NEZ): দাবি করা হয় যে Astra Mk-III এর 100 কিলোমিটারের বেশি একটি NEZ (জোন যেখানে লক্ষ্য পালাতে পারে না) রয়েছে। এর মানে হল যে এটি MBDA Meteor, AIM-120D AMRAAM এবং চাইনিজ PL-15/21 এর চেয়ে ভাল ক্ষেপণাস্ত্র প্রমাণ করতে পারে।
লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম: Astra Mk-III Sukhoi Su-30 MKI, HAL Tejas চালু হয়েছে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে এটি মিরাজ 2000 এবং মিগ-29-এর মতো অন্যান্য ফাইটার প্লেন থেকেও লঞ্চ করা যেতে পারে।