DRDO DURGA-2: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে, সরকার তার সামরিক শক্তি জোরদার করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে। আজ ভারতের নিজস্ব ডিআরডিও দ্বারা তৈরি প্রকল্প DURGA-2 সম্পর্কে জেনে নিন। এর পুরো নাম ডাইরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন। এটি একটি উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন লেজার অস্ত্র ব্যবস্থা যা ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা দ্বারা কাজ করা হচ্ছে।
DURGA-2: গোলাবারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই আক্রমণ
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হলো এমন একটি অস্ত্র তৈরি করা যা বারুদ এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াই শুধুমাত্র লেজার রশ্মির সাহায্যে শত্রুপক্ষের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে বাতাসে ধ্বংস করতে পারে, যাতে বিপদ মানুষের কাছে না পৌঁছায়। এর মানে হল এটি ভবিষ্যতের একটি অস্ত্র হবে, যা আধুনিক যুদ্ধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় গেম-চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।
DURGA-2: মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করা এবং ধ্বংস করা
DURGA-2 লেজার অস্ত্রের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি দ্রুত লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করার এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। অন্যান্য অস্ত্রের মতো এর জন্য গোলাবারুদের প্রয়োজন হয় না। অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এর দামও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। একবার স্থাপন করা হলে, এটি কোনও বাধা ছাড়াই একটানা কাজ করতে পারে।
DURGA-2 কোথায় ব্যবহার করা হবে?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ভবিষ্যতে এটি ভারতীয় বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীতে মোতায়েন করা যেতে পারে। এই সিস্টেম শত্রুপক্ষের ড্রোন, রকেট, ক্রুজ মিসাইল, এমনকি যুদ্ধবিমানকেও আটকাতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, লেজার রশ্মি সহজে সনাক্ত করা যায় না, যার ফলে শত্রু আক্রমণের উৎস সনাক্ত করতে পারে না।
DURGA-2 শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করবে
ভারত আজ চিন এবং পাকিস্তানের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চিন ইতিমধ্যেই লেজার অস্ত্র তৈরিতে কাজ করছে, এবং পাকিস্তানও নতুন প্রযুক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে। ভারতের DURGA-2 প্রকল্প আমাদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে। আগামী বছরগুলিতে DURGA-2 সামরিক বাহিনীর সক্ষমতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি কেবল যুদ্ধ কৌশলকেই রূপান্তরিত করবে না বরং ভারতকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি নেতাদের মধ্যে স্থান দেবে।