World’s Heaviest Weapons: ইতিহাসের পাতায়, মানবজাতি তার নিরাপত্তা এবং আধিপত্যের জন্য এমন অস্ত্র তৈরি করেছে, যেগুলো কেবল আকারেই বিশাল নয়, তাদের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতাও কল্পনার বাইরে। বিশ্বের ‘সবচেয়ে ভারী’ অস্ত্রগুলি কেবল তাদের শারীরিক ওজনকেই বোঝায় না, বরং যুদ্ধক্ষেত্রে তারা যে ‘ওজন’ রেখে যায়, অর্থাৎ তাদের ধ্বংসাত্মক প্রভাবকেও বোঝায়। প্রাচীন যন্ত্র থেকে শুরু করে আধুনিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) পর্যন্ত, এই অস্ত্রগুলি মানব প্রকৌশলের শীর্ষস্থানের প্রতিনিধিত্ব করে।
এই অস্ত্রগুলি যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ করে। একদিকে, ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী কিছু কামান রয়েছে, এবং অন্যদিকে, পারমাণবিক বোমা রয়েছে, যার ধ্বংসাত্মক পেলোড সমগ্র শহরগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এই পাঁচটি ভারী অস্ত্র ছিল তাদের সময়ের প্রযুক্তিগত বিস্ময়, যা সামরিক শক্তির ভারসাম্যকে চিরতরে বদলে দিয়েছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক তৈরি জার বোম্বা (RDS-220), বিশ্বের সবচেয়ে ভারী এবং সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র যা এখন পর্যন্ত বিস্ফোরিত হয়েছে। এর ভৌত ওজন ছিল প্রায় ২৭,০০০ কিলোগ্রাম (২৭ টন)। বোমাটি প্রায় ৫০ মেগাটন টিএনটি বিস্ফোরক শক্তিতে বিস্ফোরিত হয়েছিল, যদিও তাত্ত্বিকভাবে এটি ১০০ মেগাটন পর্যন্ত উৎপাদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি ৩০ অক্টোবর, ১৯৬১ সালে আর্কটিক মহাসাগরের উপর পরীক্ষা করা হয়। এর বিস্ফোরণের ফলে উৎপন্ন শকওয়েভ তৃতীয়বারের মতো পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসে। আজও, এটি মানবসৃষ্ট বৃহত্তম বিস্ফোরক ঘটনা হিসেবে রয়ে গেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি কর্তৃক নির্মিত শোয়েরার গুস্তাভ কামানটি এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ভারী কামান। প্রায় ১,৩৫০ টন ওজনের এই কামানটি রেললাইন দিয়ে চালিত হত। এটির জন্য একসাথে ২৫০ জনেরও বেশি সৈন্য এবং বেশ কয়েকটি রেল ইঞ্জিনের প্রয়োজন ছিল। এর ক্যালিবার ছিল ৮০০ মিলিমিটার এবং এটি ৭ টনেরও বেশি ওজনের গোলা নিক্ষেপ করতে পারে। এটি মূলত ফ্রান্সের ম্যাগিনোট লাইন এবং ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপলের সুরক্ষিত দুর্গ ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এর অবিশ্বাস্য ওজন এবং আকার ছিল এর সবচেয়ে বড় শক্তি এবং দুর্বলতা।
রাশিয়ার নতুন RS-28 Sarmat আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) বিশ্বের সবচেয়ে ভারী এবং দীর্ঘতম পাল্লার আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি। এর উৎক্ষেপণের ওজন প্রায় 208 টন (208,000 কিলোগ্রাম)। এটিকে ‘অতি-ভারী’ শ্রেণীতে রাখা হয়েছে কারণ এটি ১০ থেকে ১৫টি MIRV (মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকেলস) অর্থাৎ একসাথে একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
আমেরিকার GBU-43/B ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট (MOAB) বিশ্বের বৃহত্তম অ-পারমাণবিক (প্রচলিত) বোমাগুলির মধ্যে একটি। এর ওজন প্রায় ৯,৮০০ কিলোগ্রাম (৯.৮ টন)। এটি ১১ টনেরও বেশি উচ্চ বিস্ফোরক দিয়ে ভরা, যা একটি বিশাল বিস্ফোরণের সৃষ্টি করে। “সকল বোমার জননী” নামে পরিচিত, এটি প্রথম ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে টানেল কমপ্লেক্স ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি শত্রু সামরিক ইউনিটগুলিকে মানসিক ক্ষতি করার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
বি-২ স্পিরিট নিজেই একটি বিমান, তবে এটিকে ভারী পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা একটি সম্পূর্ণ অস্ত্র ব্যবস্থা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এর সর্বোচ্চ টেকঅফ ওজন প্রায় ১৭০,০০০ কিলোগ্রাম (১৭০ টন)। এই বিমানটি তার অভ্যন্তরীণ বোমা উপসাগরে ১৮,০০০ কিলোগ্রাম (পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ধরণের ওয়ারহেড) বহন করতে পারে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল যুদ্ধবিমান। এর স্টিলথ প্রযুক্তির কারণে, এটি রাডারে সনাক্ত না হয়েও বিশ্বের যেকোনো কোণে ভারী বোমা হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে।
know about 5 World’s Heaviest Weapons
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যা যুদ্ধের ইতিহাস বদলে দিয়েছে
तबाही के ‘महाबली’: दुनिया के वो 5 सबसे भारी हथियार, जिन्होंने बदल दिया युद्ध का इतिहास
https://zeenews.india.com/hindi/zee-hindustan/photo-gallery-the-happiest-weapons-in-the-world-that-changed-the-history-of-war/2940237