বর্ষা আসতেই একের পর এক সেতু ভেঙে (Bridge Collapses) পড়ছে বিহারে। এবার কিষাণগঞ্জ জেলায় ভেঙে পড়ল সেতু। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের অধীনে ১৩ বছর আগে এই সেতুটি তৈরি হয়। আপাতত সেটি ভেঙে জলে তলিয়ে (Bridge Collapses) গিয়েছে।
এর ফলে সমস্যার পড়েছে আশপাশের গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। বুধবার রাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিহারে গত ১০ দিনের মধ্যে এটি চতুর্থ সেতু ধসের ঘটনা। এর আগে আরারিয়া, পশ্চিম চম্পারন এবং সিওয়ান জেলাতেও সেতু ভেঙে পড়েছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ ব্লকের বাঁশবাড়ি গ্রামের কাছে শ্রাবণ চকে নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতু বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছে। সেতুর দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। ডুবে যাওয়া সেতুটি ৭০ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওড়া ছিল। এটি ২০১১ সালে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল।
Arvind Kejriwal: কেজরির আবেদনে সম্মতি আদালতের, জেলে পাচ্ছেন বড় ছাড়!
পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়র শ্রাবণ সাহনি বলেন, আমরা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায়ও তিনি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে আসের এবং তারপর যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেন।
সিও আশিস কুমার বলেন, সেতু ধসের পর সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছে। সেতুটি আগে থেকেই দুর্বল ছিল এবং এর উপর দিয়ে শুধুমাত্র হালকা যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
সিবিএসই দশম-দ্বাদশের পুনর্মূল্যায়নের ফলাফল ঘোষণা, রেজাল্ট জানুন এক ক্লিকে
আশিস বলেন, নেপালের ক্যাচমেন্ট এলাকায় লাগাতার বৃষ্টির কারণে বিহারের নদীগুলো তলিয়ে গিয়েছে। এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া মারিয়া নদী প্লাবিত হয়েছে। এতে সেতুর একাংশ নদীতে তলিয়ে যায়।
এর আগে ১৮ জুন, পার্শ্ববর্তী জেলা আরারিয়ায় একটি সেতু উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়েছিল। এটি তার নির্মাণ কাজ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এর পর, ২৩ জুন, পশ্চিম চম্পারণ জেলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অধীনে নির্মাণাধীন একটি সেতুর কিছুটা অংশ ধসে পড়ে। ২২ জুন, সিওয়ানের মহারাজগঞ্জে একই রকম একটি দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশের একটি ছোট গাড়ি গন্ডক খালে গিয়ে পড়ে।
ট্রেনে লোয়ার বার্থে ঘুমন্ত যাত্রীর উপর আপার বার্থ ভেঙে ভয়ঙ্কর পরিণতি, কী সাফাই রেলের?