HomeBharatজর্জ সরোসের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর যোগাযোগ দেশের জন্য উদ্বেগের: রিজিজু

জর্জ সরোসের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর যোগাযোগ দেশের জন্য উদ্বেগের: রিজিজু

- Advertisement -

 জর্জ সরোস ইস্যুতে তরজা অব্যাহত কংগ্রেস-বিজেপির (BJP)। কেন্ত্রীয় কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধী এবং হাঙ্গেরি-আমেরিকান ব্যবসায়ী জর্জ সরোসের (George Soros) মধ্যে সম্পর্ককে “গম্ভীর” উদ্বেগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের বিষয়গুলোকে “রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ” থেকে না দেখে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়া উচিত “অ্যান্টি-ইন্ডিয়া ফোর্সেস” এর বিরুদ্ধে।

সোমবার দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের নিয়ে বৈঠক সুনীল বানসলের

   

আজ এক বিবৃতিতে রিজিজু বলেন, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমি রাজনীতি না করে উত্থাপন করতে চাই। সোনিয়া গান্ধী এবং জর্জ সরোসের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুতর। আমরা এটি রাজনৈতিকভাবে দেখাতে চাই না।” তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই ধরনের উদ্বেগজনক সম্পর্ক জাতির স্বার্থে আলোচনা করা জরুরি, তবে এটি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয়।

বিজেপি বারবার অভিযোগ করেছে যে, সোনিয়া গান্ধী জর্জ সরোসের ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কিছু সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। ruling party তাদের দাবিতে বলছে যে, এই সংস্থাগুলি বিতর্কিত অবস্থান গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে একটি হল কাশ্মীরকে আলাদা একটি ইউনিট হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা। বিজেপির মতে, সরোসের ফাউন্ডেশন একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয়েও ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

কিরেন রিজিজু আরও বলেন, “এটি একটি জাতীয় স্বার্থের প্রশ্ন, এবং এর গুরুত্ব কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক তর্ক নয়, বরং একটি জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।” তিনি আরও বলেন যে, ভারতীয় গণতন্ত্র এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই ধরনের বিষয়গুলোর বিরুদ্ধে একসঙ্গে দাঁড়ানো উচিত, যেটি সবার আগে দেশের স্বার্থের পক্ষে কাজ করবে। 

ওয়াকফ ইস্যুতে মুসলিম সংগঠনগুলিকে সমর্থন খ্রীস্টান সাংসদদের

বিজেপি নেতারা বলেছেন, এই সম্পর্ক এবং সরোসের ফাউন্ডেশনের ভূমিকা দেশের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ তা কিছু দেশের ক্ষেত্রে ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের মতো প্রভাব ফেলতে পারে। তারা দাবি করেছে যে, এই ফাউন্ডেশনটি কখনো কখনো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে, বিশেষ করে কাশ্মীরের বিষয়ে।

অন্যদিকে, কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে এবং এর সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। কংগ্রেসের মতে, সরোসের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর কোনো ধরনের প্রাসঙ্গিক বা কার্যকর সম্পর্ক নেই, এবং এটি শুধুমাত্র বিজেপির একটি রাজনৈতিক কৌশল।

চলতি বছরে শীগ্রই বন্ধ হচ্ছে ইউজিসি নেটের আবেদন প্রক্রিয়া, দেরি না করে এখনই করুন আবেদন

এমন এক পরিস্থিতিতে, কিরেন রিজিজুর মন্তব্য ভারতের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার বক্তব্যের পর, জাতীয় রাজনীতিতে এই বিষয়ে ব্যাপক বিতর্ক হতে পারে। এই বিষয়টি ভবিষ্যতে আরও বিশদভাবে তদন্ত করা হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এটা স্পষ্ট যে, এই ধরনের মন্তব্যগুলো দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular