বেঙ্গালুরু, ১ অক্টোবর : ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি এবং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গের স্বাস্থ্য (India Politics) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগের ছায়া পড়েছে। ৮৩ বছর বয়সী এই বর্ষীয়ান নেতা আজ সকালে বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাঁকে পেসমেকার ইমপ্লান্ট করার পরামর্শ দিয়েছেন, এবং এই পরিকল্পিত অস্ত্রোপচারটি হাসপাতালেই সম্পন্ন করা হবে।
খড়গের ছেলে এবং কর্ণাটকের আইটি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খড়গেএক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “ খড়গেকে পেসমেকার ইমপ্লান্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি পরিকল্পিত প্রক্রিয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি। তিনি স্থিতিশীল এবং ভালো আছেন। সকলের উদ্বেগ এবং শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞ।” মল্লিকার্জুন খড়্গের এই হাসপাতালে ভর্তির খবর ছড়াতেই কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
তবে প্রিয়াঙ্কের পোস্ট অনুসারে, এটি একটি রুটিন প্রক্রিয়া এবং খড়গের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, খড়গে গত কয়েকদিন ধরে জ্বর এবং পায়ে ব্যথার অভিযোগ করছিলেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হৃদপিণ্ডের ছন্দে অসামঞ্জস্যতা ধরা পড়ে, যার ফলে পেসমেকারের প্রয়োজন হয়েছে। এই ডিভাইসটি হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে এবং এটি একটি সাধারণ অস্ত্রোপচার, যা সাধারণত এক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়।
কংগ্রেসের একজন নেতৃত্বের মতে “খড়্গজী কংগ্রেসের একটি অটুট স্তম্ভ। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সকলে দুশ্চিন্তিত, কিন্তু চিকিৎসকদের আশ্বাস পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছি। তিনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন।” খড়গের এই অসুস্থতার মধ্যেও তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচি অটুট রয়েছে। তিনি ৭ অক্টোবর নাগাল্যান্ডের কোহিমায় যাবেন এবং সেখানে ‘নিরাপদ গণতন্ত্র, নিরাপদ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নিরাপদ নাগাল্যান্ড’ বিষয়ক এক জনসভায় অংশ নেবেন।
এছাড়া, কংগ্রেসের রাজনৈতিক বিষয় কমিটি, প্রো-কমিটি এবং জেলা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আলোচনারও কর্মসূচি রয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে.সি. বেনুগোপাল এবং অন্যান্য নেতারা তাঁর সঙ্গে যাবেন। মল্লিকার্জুন খড়গের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ। তিনি ১৯৪২ সালে কর্ণাটকের বুক্কা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ছোটবেলা থেকেই কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কাপুর পরিবারের নতুন অতিথি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
১৯৭০-এর দশকে তিনি কর্ণাটক বিধানসভায় নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীকালে মন্ত্রীপদ গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালে তিনি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন, যা দলের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। বর্তমানে তিনি লোকসভা নির্বাচনের পরাজয় সত্ত্বেও বিরোধী দলের নেতা হিসেবে সরকারের বিরোধিতায় সক্রিয়।