নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাতে জিএসটি সংস্করণ নিয়ে খোঁচা মেরে কেরল কংগ্রেসের টুইট ঘিরে তুঙ্গে ওঠে কংগ্রেস-বিজেপি তরজা। সিগারেট, সিগার এবং অন্যান্য তামাকজাতীয় দ্রব্যে নয়া জিএসটির হার বাড়িয়ে ৪০% করা হলেও বিড়ির ক্ষেত্রে সেটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করে দেওয়াকে নিয়েই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করে এক্স-এ পোস্ট করে কেরল কংগ্রেস। সেই পোস্টে বলা হয়, “বিহার এবং বিড়ি দুইয়েরই প্রথম অক্ষর “বি”। এটিকে আর অপরাধ বলে মনে করা হবে না”।
কিছুক্ষণ পর পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হলেও “বিহারীদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে” বলে ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। শুক্রবার দিনভর এই বিরি-বিহার বিতর্ক নিয়ে চলে কংগ্রেস-বিজেপি তরজা। এবার সমগ্র রাজ্য থেকে পোস্টটি ঘিরে বিতর্ক এবং সমালোচনার ঝড়ে পদত্যাগ করলেন কেরল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান। কেরলের থিরথালা বিধানসভা কেন্দ্রের দুইবারের বিধায়ক এবং বর্তমানে কেরল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান ভি টি বলরাম ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
গত বছর ডঃ পি সারিম ইস্তফা দিয়ে সিপিআইএমে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কেরল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন বলরাম। তুমুল সমালোচনা এবং বিতর্কের আবহে ‘বিহার-বিড়ি’ পোস্টটি মুছে দিয়ে অন্য একটি পোস্টে কেরল কংগ্রেসের তরফে লেখে হয়, “মোদীর নির্বাচনী গিমিকের বিরুদ্ধে আমাদের কটাক্ষের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। যদি কারও এতে খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমরা দুঃখিত”। অন্যদিকে, কংগ্রেসকে একহাত নেয় বিজেপি। কংগ্রেস “সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে” বলে শুক্রবার তোপ দাগেন বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা।
সেইসঙ্গে আরজেডি (RJD) নেতা তথা বিহারের ইন্ডি জোটের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ তেজস্বী যাদবের উদ্দেশ্যে “মিত্র” কংগ্রেসের এই আচরণকে কি “সমর্থন করবেন”? বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন শেহজাদ। তিনি আরও বলেন, “রেভানাথ রেড্ডী থেকে শুরু করে ডিএমকে এমনকি কংগ্রেসেরও বিহারের প্রতি ঘৃণা স্পষ্ট!” ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেডিইউ (JDU) নেতা সঞ্জয় কুমার ঝা-ও।
তিনি বলেন, শুধু বিড়ি নয়, ইংরেজি অক্ষর “বি” দিয়ে বুদ্ধি শব্দ তৈরি হয়, যেটি আপনাদের নেই! বি দিয়ে বাজেটও হয়। যেটি থেকে বিহার বিশেষ কোনও সুবিধা পেলে আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরে! উল্লেখ্য, ভারতের বিড়ি উৎপাদনের অন্যতম বড় ক্ষেত্র বিহার। দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ এই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কেন্দ্র সরকার ভোটের আগে তাই বিড়ির উপর থেকে জিএসটি কমিয়ে বিহারের মানুষকে ‘খুশি’ করতে চাইছে ইঙ্গিত করে পোস্টটি করে কেরল কংগ্রেস।