ইডির সমনকে চ্যালেঞ্জ করে কেজরিওয়ালের আবেদন, হাইকোর্টে শুনানি শুরু

দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (kejriwal) একটি আবেদনের (appeals) ওপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-কে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছে।…

lg approves investigation against kejriwal

দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (kejriwal) একটি আবেদনের (appeals) ওপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-কে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে বলেছে। কেজরিওয়াল অভিযোগ করেছেন যে, আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় তাকে ইডি কর্তৃক যে সমন জারি করা হয়েছে তা অবৈধ এবং ভিত্তিহীন। এই মামলাটি মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত এবং তার বিরুদ্ধে তাতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরির নির্দেশ: আদালতে নতুন আদেশের প্রয়োজন নেই
বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরি আবেদনের শুনানিতে (hearing) ইডির পক্ষ থেকে আসা আপত্তির ওপর প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, “এই ফৌজদারি মামলায় বিচার স্থগিত করার কোনো কারণ নেই,” এবং আরও বলেন, “ট্রায়াল কোর্টের আদেশ, যা কেজরিওয়াল চ্যালেঞ্জ করেছেন, তা গত দুই মাস আগে দেয়া হয়েছিল এবং এটি নতুন কোনো আদেশ নয়।” এর মাধ্যমে আদালত কেজরিওয়ালের আবেদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইডিকে তাদের বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছে।

   

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ: আবগারি কেলেঙ্কারি এবং মানি লন্ডারিং
অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই মামলাটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, তারা একটি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করেছে। কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ইডি এই অভিযোগের ভিত্তিতে সমন জারি করেছে এবং তাকে তদন্তে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে, কেজরিওয়াল দাবি করেছেন যে, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার এবং এটি তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। তিনি আদালতে এই সমনকে চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন যাতে তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকূল ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।

হাইকোর্টের পরবর্তী পদক্ষেপ: ইডিকে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া দিতেও বলা হয়েছে
হাইকোর্ট এখন ইডিকে তাদের অভিযোগ এবং কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কেন সমন জারি করা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করতে বলেছে। এই শুনানি আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি শুধুমাত্র কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকেই প্রভাবিত করবে না, বরং দিল্লি সরকারের কার্যকলাপকেও প্রভাবিত করবে।

কেজরিওয়ালের এই মামলা এবং তার বিরুদ্ধে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত তদন্ত আরও বৃহত্তর রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, এবং আগামী দিনের আদালতের শুনানি এই বিতর্কের পরবর্তী অধ্যায় তৈরি করবে।