‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-র (এনসিপিসিআর) চেয়ারপারসন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো শিশুদের অধিকার, বিশেষ করে মাদ্রাসায় অমুসলিম শিশুদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন, “মাদ্রাসাগুলি হল ইসলামিক ধর্মীয় শিক্ষা দানের কেন্দ্র। মাদ্রাসাগুলো শিক্ষার অধিকার আইন আওতার বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে, হিন্দু এবং অন্যান্য অমুসলিম শিশুদের মাদ্রাসায় রাখা শুধু তাদের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘনই নয়, সমাজে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর কারণ হয়ে উঠতে পারে। রাজ্য সরকারকেগুলিকে বলব, মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করা হিন্দু শিশুদের স্কুলে ভর্তি করার জন্য। যাতে তারা শিক্ষার মৌলিক অধিকার পেতে পারে। আর মুসলিমদের ক্ষেত্রে সংবিধান ওই ধর্মের শিশুদের শিক্ষার অধিকারের সাথে ধর্মীয় জ্ঞান প্রদানের ব্যবস্থাও করে।”
কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক একটি নির্দেশিকাও জারি করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব। কিন্তু, প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর দাবি যে, “পত্রপত্রিকায় জানা গিয়েছে যে, জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ নামে একটি ইসলামী সংগঠন উত্তর প্রদেশের মুখ্য সচিবের জারি করা আদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের অনুভূতি উসকে দেওয়ার কাজ করছে।” জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ হল ইসলামিক আলেমদের একটি সংগঠন, মাদ্রাসা দারুল উলূম দেওবন্দের একটি শাখা। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে কমিশন গাজওয়া-ই-হিন্দকে সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ করেছে।
জিতেই হারের কারণ ফাঁস রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণীর! মমতা-অভিষেকের কৃতিত্ব নিয়েই সন্দেহ?
‘ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-এর চেয়ারম্যানের আরও দাবি যে, “এটা দেখার বিষয় যে, গত বছর উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দ সংলগ্ন গ্রামের একটি মাদ্রাসায় নিখোঁজ হিন্দু শিশুর পরিচয় পরিবর্তন এবং খৎনা করে ধর্মান্তরিত করার ঘটনার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ধরণের ঘটনা রোধ করাও জরুরি।” প্রিয়ঙ্ক কানুনগো, তাঁর পোস্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের কথাও উল্লেখ করেছেন, যা উত্তর প্রদেশে বলবৎ রয়েছে এবং বলেছেন যে, “আমি জনসাধারণকে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি যে শিশুদের অধিকারের বিষয়ে কোনও মৌলবাদী ধর্মান্ধদের দ্বারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না এবং শিশুদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়তে সাহায্য করুন।” কানুনগোর সংযোজন, “গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে।”