কেদারের পাহাড় থেকে হু হু করে নামছে বরফের চাঁই! ধ্বসেই ২০২৪-এ ধ্বংস হবে কেদারনাথ?

দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুম চলছে (Kedarnath Landslide)। আর সেই সঙ্গে শিব ভক্তদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। কারণ চলছে চারধাম যাত্রা। আর এরই মধ্যে ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডের…

দেশ জুড়ে বর্ষার মরশুম চলছে (Kedarnath Landslide)। আর সেই সঙ্গে শিব ভক্তদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। কারণ চলছে চারধাম যাত্রা। আর এরই মধ্যে ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের আতঙ্ক ফিরে এল কেদারধামে(Kedarnath Landslide)। রবিবার তুষার ধ্বসের কবলে পড়লো কেদারনাথ ধাম (Kedarnath Landslide)। তবে এখনও অব্দি এই ঘটনায় কোনও বিশেষ বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে। যেটা আপাতত স্বস্তিতে রেখেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন থেকে শুরু করে পুণ্যার্থীদের।

দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে বর্ষা ইতিমধ্যেই তার দাপট দেখানো শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টির প্রকোপে মাঝেমধ্যেই পাহাড়ে ধ্বসের (Kedarnath Landslide) ঘটনা ঘটছে। এমনিতেই সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার উত্তরাখণ্ডে ধসের ঘটনা ঘটেছে। গোটা উত্তরাখণ্ডই ধ্বস-প্রবণ বলে মনে করছেন জিওলজিস্টরা। ২০১৩ সালে ঘটে যাওয়া কেদারে মারাত্মক বিপর্যয়ের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে বেড়ায় স্থানীয় মানুষদের। তারই মধ্যে রবিবারে গান্ধী সরোবর সংলগ্ন এলাকায় বিশাল তুষার ধসের ঘটনায় ফিরে এল সেই অভিশপ্ত স্মৃতি ।

   

রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে কেদারনাথে। তারই মাঝে আচমকা কেদারনাথের গান্ধী সরোবর এলাকায় বিশাল তুষার ধ্বস (Kedarnath Landslide) নামে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় মন্দিরের পেছন থেকে হু হু করে সাদা গুঁড়োর মতন নেমে আসছে তুষারের চাঁই। মুহূর্তের মধ্যেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কেদার মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এলাকা খালি করার চেষ্টাও করা হয়। যদিও তুষার ধ্বসের প্রভাব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় পড়েনি বলেই জানা যাচ্ছে।

৪০০০০ ফুট উচ্চতায় সেলিব্রেশনে মাতলেন ভারতের অনুরাগীরা

এর আগেও ২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডের এই চোরাবারি এলাকাতে এরকমই ধ্বস নামতে দেখা গিয়েছিল। গত বছরে সেপ্টেম্বর অক্টোবরেও সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হয়। আবারও রবিবারে দেখা গেল সেই একই চিত্র। যদিও পরিবেশবিদদের মতে হিমালয় অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াই ঘনঘন ধ্বস নামার অন্যতম কারণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৩ সালে এই চোরাবারি হিমবাহ সংলগ্ন ‘চোরাবারি-তাল’ হ্রদ ফেটে গিয়ে নেমে আসা কাদা-পাথরের স্রোত, গোটা কেদারনাথ এলাকাকে একেবারে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। আশ্চর্যজনক ভাবে পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি বিশাল বড় পাথরের গার্ডে বেঁচে যায় কেদারনাথ মন্দির। চারিদিকে ধ্বংসের প্রতিচ্ছবির মধ্যেও কেদার ছিল প্রায় অক্ষত। অনেকে বলেন স্বয়ং ভগবান শিব নিজেই রক্ষা করেছিলেন তাঁর মন্দিরকে। এমনকী এখনও মন্দিরের পিছনে থাকা সেই বিশাল বড় পাথরের চাঁইকে অনেকেই রীতিমতন ভগবান শিব হিসাবে পূজো করেন।

এই মন্ত্রীর গাড়ির লালবাতি কেড়ে মন্ত্রিত্বে লালবাতি জ্বালাবেন মমতা?

যদিও ২০১৩ সালের ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তরাখণ্ড সরকার একটি বিশেষ বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং টিম তৈরি করেছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন হিমবাহ এবং বিভিন্ন বরফ গলা জলে তৈরী হ্রদের নিয়মিত মনিটরিং করা। সেক্ষেত্রে কোনও হ্রদে যদি জলের পরিমাণ বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে যায়, তাহলে সেই জল কৃত্রিমভাবে বার করে দেওয়ার ব্যবস্থা করাটাই লক্ষ্য সরকারের।

আপাতত গত অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। কেদার-ভক্তদের দৃঢ় বিশ্বাস, ভগবান তাঁর ভক্তদের মন্দির দর্শনে কোনওভাবেই বিঘ্ন ঘটাতে চাইবেন না। আর তাই রবিবারের এত বড় তুষার ধ্বসেও সেই অর্থে কোনও প্রভাবই পড়েনি কেদার মন্দিরে।