আমেদাবাদ: গুজরাটের এক জনসভায় কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের একবার কাশ্মীরে সন্ত্রাসের গভীর ইতিহাস তুলে ধরে পাকিস্তানকে নিশানা করলেন। ৭৫ বছর আগের ১৯৪৭ সালের সেই ভাগবাটোয়ারার রাতে শুরু হওয়া কাশ্মীরি সন্ত্রাসকে আজকের সমস্যার মূল কারণ বলে বর্ণনা করে তিনি বললেন, “সেদিন যদি সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করা যেত, তবে আজকের এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার উদ্ভব হতো না।”
সর্দার প্যাটেলের পরামর্শ অবহেলা
মোদীর কথায়, স্বাধীনতা লাভের ঠিক পরের রাতেই কাশ্মীরের মাটিতে প্রথম সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়। পাকিস্তান ‘মুজাহিদিন’ নামে একদল জঙ্গি পাঠিয়ে ভারতীয় মাটিতে অবাধে প্রবেশ করেছিল। “সেই সময়ে মুজাহিদিনদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি,” যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন যে দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বলেছিলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সেনা অভিযান থামানো যাবে না, কিন্তু তখনকার শাসকদল সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দেননি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “পাকিস্তান আসলে এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ‘প্রক্সি ওয়ার’ হিসেবে চালাচ্ছে না, এটা তাদের সশস্ত্র যুদ্ধের কৌশল।” মোদী বলেন, “সন্ত্রাস শুধু কোনো অরাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাজ নয়, এটা পাকিস্তানের সরাসরি যুদ্ধের হাতিয়ার।” তিনি স্পষ্ট করে জানালেন, ভারত এই কৌশলকে সবসময়ই কঠোর হাতে মোকাবিলা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
পাকিস্তান ভারত জয় করতে পারবে না Kashmir Terrorism History
২০১১ থেকে আজ পর্যন্ত কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য ভারতের যে কঠোর প্রচেষ্টা চলছে, তার পেছনে রয়েছে সেদিনের সেই অবহেলার শিক্ষা। মোদী জানান, “ভারতীয় সেনা সর্বদা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। পাকিস্তান বুঝতে বাধ্য হয়েছে, তারা ভারতকে জয় করতে পারবে না।”
একদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলেও, প্রধানমন্ত্রী শান্তি ও সংলাপের দরজা বন্ধ করেননি। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের সাধারণ জনগণ যদি শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগোতে শুরু করে, তাহলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছতে পারে।” তবে সতর্ক করে দেন, “যারা আগ্রাসী কূটনীতির পথ বেছে নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মোদীর এই বক্তব্য আসলে শুধুমাত্র এক রাজনৈতিক ভাষণ নয়, এটি ভারতের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা নীতি ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির মর্মস্পর্শী পর্যালোচনা। একদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা, অন্যদিকে শান্তির আহ্বান — এই সুরেই মোদী দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
Bharat: PM Modi revisited Kashmir’s terror history in Gujarat, blaming 1947’s unchecked aggression for today’s issues. He slammed Pakistan’s “proxy war” and recalled Sardar Patel’s unheeded advice on PoK. Modi affirmed India’s strong stance against aggression, while hinting at peace if Pakistan chooses development.