১৭ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, প্রভাবশালী বিজেপি নেতাকে তলব সিআইডির

No arrest for BS Yediyurappa before June 17 hearing ordr by Karnataka High Court

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। প্রভাবশালী বিজেপি (BJP) নেতাকে তলব করল সিআইডি। ঘটনাটি দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকের। সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে সিআইডি।

Advertisements

১৭ বছরের ওই নাবালিকার মা ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সদাশিবনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ৮০-ঊর্ধ্ব ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (এ) ধারায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়। পরে সেই মামলা পুলিশ সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছে।

বেঙ্গালুরু পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ওই নাবালিকা এবং তার মা একটি প্রতারণার মামলায় সহায়তা চাইতে কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পার কাছে গিয়েছিলেন। সেই সময় ইয়েদুরাপ্পা ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। ইয়েদুরাপ্পা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে সেগুলিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ৩ বিজেপি সাংসদ! শীঘ্রই বিরাট চমক, দাবি তৃণমূল সাংসদের

যদিও ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, দিল্লি থাকার কারণে তিনি আপাতত সিআইডির দফতরে যেতে পারছেন না। ইয়েদুরাপ্পা তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে সিআইডি-র সামনে হাজিরা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়ানোর আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যেই এই যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ইয়েদুরাপ্পাকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী দল।

Advertisements

এর আগেও নানা সময় বিতর্কে জড়িয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা। ২০১৯-এ ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন বিধানসভার অধিবেশনে বসে পর্ন দেখায় অভিযুক্ত লক্ষ্মণ সড়াভীকে। সেই ঘটনায় গোটা দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর অবিসংবাদিত নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার ভালোই প্রভাব রয়েছে কর্নাটকে।

মোদী ৩.০ মন্ত্রিসভার ২৮ মন্ত্রীর বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা! বাংলার ২ জনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ

৮১ বছর বয়সী ইয়েদুরাপ্পা ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে একাধিকবার, ২০১৮ সালের মে মাসে এবং আবার ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনা ও অনিশ্চয়তার পর ২০২১ সালে তিনি পদত্যাগ করেন।