Karnataka hijab row: কোরান মেনেই নিষিদ্ধ হিজাব, দাবি হিমন্তের

শিক্ষাঙ্গনে হিজাব (hijab) নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের রায় ঘোষণা করেছে কর্ণাটক উচ্চ আদালত। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে হিজাব ইসলাম ধর্মের আবশ্যিক বা অপরিহার্য অঙ্গ…

himanta biswa sarma

শিক্ষাঙ্গনে হিজাব (hijab) নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের রায় ঘোষণা করেছে কর্ণাটক উচ্চ আদালত। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে হিজাব ইসলাম ধর্মের আবশ্যিক বা অপরিহার্য অঙ্গ নয়। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। এইভাবে, সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের অধীনে সুরক্ষিত নয়। এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে কোরানের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

সপ্তাহ খানেক আগে হিজাব বিতর্ক উত্তাল হয়ে ওঠে কর্ণাটক। হিজাব পরে কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলে প্রতিবাদ করে মুসলিম ছাত্রীরা। যার পালটা গেরুয়া উত্তরিয় গলায় জড়িয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়া শুরু করে হিন্দুত্ববাদী পড়ুয়ারা। এই অবস্থায় আবার দলিত পড়ুয়াদের গলায় নীল রঙের উত্তরীয় চাপিয়ে স্কুলে যেতে। সকল ধর্মের পড়ুয়ারাই ধর্মীয় স্লোগান দেয় শিক্ষাঙ্গনে। যা নিয়ে ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠে এই বিতর্ক।

চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ওই মামলার রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। কর্ণাটক হাই কোর্টের হিজাব সংক্রান্ত রায় পছন্দ হয়নি অনেকের। যা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন ওই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা দেবেগৌড়াও একই কথা বলেছেন। স্বাভাবাইকভাবেই একই সুর শোনা গিয়েছে হায়দরাবাদের সাংসদ তথা মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির গলায়। হিজাব সংক্রান্ত সকল মামলা খারিজ করে দিয়েছে কর্ণাটক উচ্চ আদালত। ক্ষুব্ধ মুসলিম পড়ুয়ারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।

Advertisements

এই অবস্থায় ওই হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেছেন, “কর্ণাটক উচ্চ আদালতের বিচার এবং রায় যুক্তিপূর্ণ। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি পোশাকবিধি থাকা উচিত। মুসলিম সমাজের কখনই আদালতের রায়কে তাঁদের বিরুদ্ধ বলে মনে করা উচিত নয়। কোরানের নির্দেশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ হচ্ছে কর্ণাটক উচ্চ আদালতের হিজাব সংক্রান্ত ওই রায়।”