ঝোপের মধ্য থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

কানপুরে (Kanpur) ঝোপের মধ্য থেকে ছাত্রী-র (student) দেহ উদ্ধার (body recovered), পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ সুত্রে খবর, গ্রামের কিছু ছেলে দলিত ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও…

Kanpur student body recovered

কানপুরে (Kanpur) ঝোপের মধ্য থেকে ছাত্রী-র (student) দেহ উদ্ধার (body recovered), পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ সুত্রে খবর, গ্রামের কিছু ছেলে দলিত ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে, তারপর ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয় এবং দেখা করতে ডাকে ওই ছাত্রীকে। গত ১০ অক্টোবর অভিযুক্তদের নির্দেশে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে বের হয়, তারপর আর ফিরে আসেনি।প্রায় সাত দিন পর আপত্তিকর অবস্থায় ঝোপের মধ্যে থেকে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়, এরপর তোলপাড় শুরু হয় গোটা গ্রামে। পরিবারের সদস্যরা ১২ অক্টোবর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

কানপুর দেহহাটের শিবলি থানা এলাকায়, গ্রামের দুই ছেলে প্রথমে ১৪ বছরের এক ছাত্রীর ভিডিও তৈরি করে। এরপর তারা তাকে হুমকি দিতে শুরু করলেও নাবালিকার বিষয়টি কাউকে জানায়নি। ১০ অক্টোবর নিখোঁজ হাওয়ার পর, আর বাড়িতে ফিরে আসেননি। এরপর পরিবারের লোকজন দুই দিন ধরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে পরিবারের অভিযোগ। অভিযোগ, গ্রামবাসীদের চাপে পুলিশ ১২ অক্টোবর দুই অভিযুক্তকে আটক করে কিন্তু সন্ধ্যায় তাদের ছেড়ে দেয়।

   

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ এরপর ১৭ অক্টোবর মাঠে নাবালিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, পুলিশ সময়মতো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কঠোর ব্যবস্থা নিলে তাদের মেয়ে রক্ষা পেত। কারণ প্রথম অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরলেও ওই দিনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর অভিযুক্তরা নিহত ছাত্রীর দেহ পুড়িয়ে দেয়। পরিবারে অভিযোগ দেহ পচে যায়। মাথায় চুল ছিল না এবং হাতের নখর কেটে ফেলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ইটাওয়া লোকসভার এসপি সাংসদ জিতেন্দ্র দোহরে কানপুর গ্রামে পৌঁছে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার ও পুলিশ সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। নিহতের পরিবার বিচার না পেলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করব। এই ঘটনায় কানপুর দেহাত এসপি বিবিজিটিএস মূর্তি জানিয়েছেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।