‘মোদী-শাহের বলার পরেই ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি,’ বিস্ফোরক কল্যাণ

ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের পর শেয়ার বাজারের বিপুল ওঠানামা নিয়ে…

kalyan banerjee 'মোদী-শাহের বলার পরেই ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি,' বিস্ফোরক কল্যাণ

ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলের পর শেয়ার বাজারের বিপুল ওঠানামা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। এদিকে বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’ বিষয়টি নিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (SEBI) তদন্ত দাবি করেছে। আর সেবি অফিস অফিস থেকে বেরিয়েই আসল বোমাটা ফাটালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ মঙ্গলবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’র প্রতিনিধি দলে ছিলেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন সাকেত গোখলে (তৃণমূল কংগ্রেস), সাগরিকা ঘোষ এবং সুপ্রিয়া সুলের মতো বেশ কয়েকজন নেতা। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র একটি প্রতিনিধি দল সেবি অফিসে পৌঁছে চেয়ারম্যান মাধবী পুরীর সাথে দেখা করে শেয়ার বাজারে কেলেঙ্কারির দাবি করে। সেইসঙ্গে দাবি করেছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মিডিয়ায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কারণে এটি ঘটেছে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অমিত শাহ ও প্রধানমন্ত্রী মোদী বিনিয়োগ করার কথা বলেছিলেন। এর পরেই ক্ষতি হয়েছে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এটা একটা প্রতারণা।’

   

তিনি আরও বলছেন, “এর আগে আমরা চেয়ারপার্সনদের চিঠি লিখেছিলাম এবং ২০২৪ সালের লোকসভার বিভ্রান্তিকর এক্সিট পোলের পিছনে ঘটে যাওয়া কারচুপি কেলেঙ্কারির বিষয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছিলাম। আমরা এখানে এসেছি কিন্তু চেয়ারপার্সন নেই। তবে সেবির তিন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন… ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বিভ্রান্তিকর এক্সিট পোলের কারণে শেয়ার বাজারে কারচুপির বিষয়ে আমরা তদন্ত চাইতে এসেছি। এক্সিট পোল করছে ‘গোদি মিডিয়া’। সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে তদন্ত দরকার।”

সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও বলেছেন, “এক্সিট পোলের কারণে শেয়ার বাজারে ছোট খুচরো বিনিয়োগকারীদের ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ভোটের সময় বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন। এই পরিস্থিতিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থাকা উচিত।”