ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে এবং এর সবচেয়ে বড় শক্তি হল K-4 ক্ষেপণাস্ত্র। এটি একটি জলের নীচ থেকে উৎক্ষেপণ করা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভারতের শত্রুদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সমুদ্রের নীচ থেকে লঞ্চ করা হয়, যার ফলে এটি ট্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে কে-4 মিসাইল ভারতের কৌশলগত শক্তি বাড়াচ্ছে।
K-4 মিসাইল: এক ঝলক
K-4 মিসাইল ভারতের সক্রিয় SLBM (সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল) সিস্টেমের অংশ। এটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং শত্রুকে অতর্কিতে আক্রমণ করার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত।
প্রধান বৈশিষ্ট্য:
পরিসীমা: 3,500 কিলোমিটার
ওয়ারহেড: 2-টন পারমাণবিক বা প্রচলিত
লঞ্চ প্ল্যাটফর্ম: আইএনএস অরিহন্ত এবং অন্যান্য পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন
গতি: মাক 4+ (শব্দের গতির চেয়ে 4 গুণ দ্রুত)
গাইডেন্স সিস্টেম: অ্যাডভান্সড আইএনএস (ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম)
নির্ভুলতা: 40 মিটারের কম CEP (বৃত্তাকার ত্রুটির সম্ভাবনা)
ভারতে K-4 সুবিধা কী?
অদৃশ্য আক্রমণ: এটি একটি সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণের কারণে ট্র্যাক করা প্রায় অসম্ভব।
উচ্চ-গতি: এটি শব্দের চারগুণ গতিতে চলে, যা থামানো কঠিন করে তোলে।
সুনির্দিষ্ট আঘাত: আধুনিক আইএনএস এবং জিপিএস প্রযুক্তির কারণে এটি খুব সামান্য ত্রুটির সাথে তার লক্ষ্যকে আঘাত করতে পারে।
পারমাণবিক ভারসাম্য: চিন এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলির পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে ভারতের শক্তিকে শক্তিশালী করে।
K-4 মিসাইল ভারতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। এর 3,500 কিলোমিটার রেঞ্জ এটিকে পাকিস্তান ও চিনের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক অস্ত্রে পরিণত করেছে। এটি ভারতের নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা নীতির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ, যা নিশ্চিত করে যে কোনও শত্রু ভারতে আক্রমণ করার আগে একশোবার চিন্তা করে।