রাজস্থানের বারমেরের মেডিক্যাল কলেজে (Barma Medical College) র্যাগিংয়ের (ragging) অভিযোগ সামনে আসার পর, কলেজ প্রশাসন একটি অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি গঠন করেছিল। ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিটি দুই ছাত্রীকে দুই মাসের জন্য এবং ছয় ছাত্রীকে ১৫ দিনের জন্য হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করেছে। র্যাগিংয়ের ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রীও জড়িত ছিল। তাদের ভুল স্বীকার করে সতর্কীকরণ চিঠি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। গত ১০ নভেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। র্যাগিংয়ের পর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
মেডিকেল কলেজের একদল সিনিয়র ছাত্রীকে হোস্টেলে ডেকে নিয়ে র্যাগিং শুরু করে। এ নিয়ে কলেজ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন জুনিয়র ছাত্রী। কলেজ প্রশাসন ছাত্রীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও ভয়ে জুনিয়র মেয়েরা নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি। এরপর কলেজ প্রশাসন ছাত্রীদের আশ্বস্ত করলে জুনিয়র শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ে জড়িত সিনিয়র শিক্ষার্থীদের নাম প্রকাশ করে।
জুনিয়র ছাত্রীদের হুমকি দেওয়া হয় যে, র্যাগিংয়ের কথা কাউকে বললে তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। তবে এ ক্ষেত্রে মেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল স্বীকার করেছে। এরপর অভিযুক্ত ছাত্রীকে সতর্ক পত্র দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে কলেজ প্রশাসন। ছাত্রী ছাড়াও জুনিয়র ছাত্রদের সঙ্গে সিনিয়র ছাত্রদের র্যাগিংয়ের ঘটনাও সামনে এসেছে, যাতে কমিটি ব্যবস্থা নিয়েছে।
এন্টি র্যাগিং কমিটি বিষয়টি তদন্ত করলে দুই সিনিয়র শিক্ষার্থীর র্যাগিং কার্যক্রমের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। তবে এ ক্ষেত্রে র্যাগিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। ভিডিওর ভিত্তিতে র্যাগিং কমিটি কলেজ হোস্টেল থেকে দুই শিক্ষার্থীকে দুই মাসের জন্য এবং অন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনের জন্য বহিষ্কারের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিষয়টি তদন্তে ১০ সদস্যের চিকিৎসকের একটি কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন। কে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।