‘১৩ রাজ্যে নেই একটাও সাংসদ, পরজীবী দল’, কংগ্রেসকে আয়না দেখালেন নাড্ডা

লোকসভার ভোটের পাশাপাশি বিধানসভা উপনির্বাচনেও বহু রাজ্যে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। আর এই নিয়ে স্বীকার না করলেও বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে গেরুয়া শিবির তা বলাই বাহুল্য। এদিকে উপনির্বাচনের ফলাফলের একদিন পরেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা (JP Nadda)।

Advertisements

আজ রবিবার উত্তরপ্রদেশের বুকে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন নাড্ডা। তিনি বলেন, ‘ভারতে ছোট-বড় মিলিয়ে দেড় হাজার রাজনৈতিক দল রয়েছে। তাদের কারোরই অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র নেই। তাদের বেশিরভাগই ‘পরিবারবাদী’ দল এবং তারা নিজেদের এবং তাদের পরিবারকে লালনপালন করছে। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করছে শুধু বিজেপিই। আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং আমাদের নিজেদের মধ্যেও আত্মসমীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে।’

এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করতে পিছ পা হন না জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “৯০ বার কংগ্রেস নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল। এরপরেও সংসদে বলে যে এটি অস্থায়ী এবং অপসারণ করা হবে। আজ বিরোধীরা গণতন্ত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছে এবং সংবিধানের রক্ষক হয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তা অমান্য করে অন্ধ্রপ্রদেশে একবার নয়, চারবার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

Advertisements

কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘তিনটি লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। আজ দেশের ১৩টি রাজ্যে একজনও কংগ্রেস সাংসদ নেই। আমরা সমাজকর্মী বেশি, রাজনৈতিক কর্মী কম। আমরা সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি। কংগ্রেস একটা পরজীবী দল।’ 

নাড্ডার মতে, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে যে দলই থাকুক না কেন, তারা যদি উত্তর-পূর্বে সক্ষম হয় তবে মধ্য ভারতে তারা শূন্য। উত্তর ভারতে যদি কোনও দল সক্ষম হয়, দক্ষিণ ভারতে সেই ম্যাজিক আবার দেখা যায় না। যদি পশ্চিম ভারতে সক্ষম হয়, তাহলে পূর্বদিকে দলের নাম নেওয়ারও কেউ নেই, আর কেন্দ্রে যদি কেউ সক্ষম হন। তবে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল, তা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই আছে।”