পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ১০ দিন পর, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah) । দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে, যেখানে রাজ্যের নিরাপত্তা (Omar Abdullah) পরিস্থিতি এবং হামলার পরবর্তী প্রভাব নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সংঘটিত এই হামলায় ২৭ জন নিরীহ পর্যটকের প্রাণহানি ঘটে। দেশজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। সেই প্রেক্ষাপটেই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah) এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে। হামলার পর থেকে কাশ্মীর উপত্যকায়(Omar Abdullah) পর্যটকদের আনাগোনায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে, যা পর্যটন-নির্ভর অর্থনীতির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে জানান তিনি।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের পক্ষ থেকে এক্স (সাবেক টুইটার)-এ জানানো হয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ(Omar Abdullah) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন এবং পহেলগাঁও হামলা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন।”
বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে জঙ্গিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, হামলার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তা একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছে—কাশ্মীরবাসীও সন্ত্রাসের অবসান চায়।
সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার মুখে ক্ষমা চাওয়ার ভাষা ছিল না। যদিও রাজ্যের নিরাপত্তা নির্বাচিত সরকারের অধীনে নয়, তবুও পর্যটকদের নিরাপদে ফেরাতে না পারার দায় আমি এড়াতে পারি না।” এই বক্তব্য রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়েও দাগ কাটে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক শুধু পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য নয়, বরং কেন্দ্রের যেকোনও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের প্রতি রাজ্য সরকারের সমর্থনের প্রতীকও বটে। সূত্রের খবর, বৈঠকের পরই নৌসেনা প্রধানও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি সম্পর্কে অবগত করেন।
এই বৈঠকগুলিকে ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে—ভারত কি এবার আরও কঠোর প্রতিক্রিয়ার পথে হাঁটতে চলেছে? পাকিস্তানের (Omar Abdullah) ‘সন্ত্রাসের কারখানা’ চিহ্নিত করে তাকে আন্তর্জাতিকভাবে কোণঠাসা করার কূটনৈতিক প্রয়াস ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এদিকে, সূত্রের দাবি, পাকিস্তানের আকাশপথ ২৩ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে, যা সামরিক প্রস্তুতির দিকেও ইঙ্গিত করছে।
এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক (Omar Abdullah) উচ্চপর্যায়ের নেতা তাঁদের বিদেশ সফর স্থগিত রেখেছেন। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনার আবহে ভারত যে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া জবাব দেওয়ার পথে রয়েছে, তার ইঙ্গিত মিলেছে বারবার।
সব মিলিয়ে, ওমর আবদুল্লাহ (Omar Abdullah) ও প্রধানমন্ত্রী মোদির এই বৈঠক শুধু রাজ্য ও কেন্দ্রের সমন্বয়ের প্রতিফলন নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার বার্তাও বয়ে আনছে।