নয়াদিল্লি: ভারতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহের জন্য মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্সের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করল রিলায়েন্স জিয়ো। মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ভারতী এয়ারটেল স্পেসএক্সের সঙ্গে স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার ঘোষণা করে৷ এর ঠিক এক দিন পর, মুকেশ অম্বানীর সংস্থা জিয়োও একই চুক্তি স্বাক্ষর করল।
জিয়োর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের খুচরো বিক্রয়কেন্দ্র এবং অনলাইন স্টোরের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু পরিষেবা প্রদান নয়, ইউজারদের স্টারলিঙ্ক সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাও প্রদান করবে। তবে, এই পরিষেবা চালু হতে ভারতের সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।
স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গুইন শটওয়েল বলেন, “আমরা জিও-র সঙ্গে কাজ করতে খুবই উত্তেজিত। এই চুক্তি আরও বেশি গ্রাহককে স্টারলিংকের দ্রুতগতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।”
ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাবে দ্রুত ইন্টারনেট
জিয়ো এবং স্পেসএক্সের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব ভারতের গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। জিয়ো জানিয়েছে, স্টারলিংকের কৃত্রিম উপগ্রহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের পরিষেবাগুলি আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
জিও এই চুক্তি দিয়ে স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবাকে একটি সাশ্রয়ী ও দ্রুতগতির সমাধান হিসেবে ভারতজুড়ে বিতরণ করবে। তারা তাদের জিয়োফাইবার এবং জিয়োএয়ারফাইবার পরিষেবাগুলোর পাশাপাশি স্টারলিংক পরিষেবাটি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেবে।
নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন
স্পেসএক্স ইতিমধ্যে ভারতের সরকার থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে, যা বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবেচনাধীন। অনুমোদন পাওয়ার পরই পরিষেবাটি দেশে চালু করা হবে।
এয়ারটেল এবং জিয়োর সঙ্গী হয়ে নতুন দিগন্তে স্পেসএক্স
ভারতী এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও আগে থেকেই স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের নিলামের মাধ্যমে বিতরণ পদ্ধতি চেয়েছিল, কিন্তু ইলন মাস্ক স্পেসএক্সের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক পদ্ধতিতেই স্যাটেলাইট স্পেকট্রাম বিতরণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এখন, তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করে, মাস্কের সংস্থা ভারতীয় টেলিকম বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে চলেছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল অপারেটর এবং কৃত্রিম উপগ্রহ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার যৌথ উদ্যোগ
জিও এবং স্টারলিংকের এই যৌথ উদ্যোগ ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবায় একটি নতুন দিগন্ত সূচনা করতে পারে। সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের পরিসর বাড়ানো সম্ভব হবে। এই অংশীদারিত্ব ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য ব্রডব্যান্ডের দ্রুতগতির এবং সাশ্রয়ী সুবিধা নিশ্চিত করবে।