গুজরাটের দলিত কংগ্রেস নেতা জিগনেশ মেভানিকে (Jignesh Mevani) গ্রেফতার করে আদালতের কাছে তীব্র ভর্ৎসনা শুনতে হল অসম পুলিশকে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, মিথ্যা মামলায় গুজরাটের এই বিধায়ককে ফাঁসানো হয়েছে।অসম পুলিশের ভূমিকা যাতে খতিয়ে দেখা হয় সে বিষয়ে নিম্ন আদালত হাইকোর্টকে অনুরোধ করেছে।
নিম্ন আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, জিগনেশের গ্রেফতারি নিয়ে অসম পুলিশ কার্যত বাড়াবাড়ি করেছে। এই দলিত বিধায়কের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, জিগনেশ প্রধানমন্ত্রীকে ট্যুইট করে অসম্মান করেছেন। সেই অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গে অসম পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা কনস্টেবলের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, গুজরাটের এই দলিত নেতাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল অসম পুলিশের একটি দল। মাঝরাতে সার্কিট হাউস থেকে গ্রেফতার করে রাতেই তাকে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে গুয়াহাটি। জিগনেশের জামিন মঞ্জুর করার আগে বরপেটা আদালত জানায়, এই দলিত নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশের একটি রাজ্য পুলিশের এ ধরনের জুলুমবাজি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিচারক আরও বলেন, এই দলিত নেতার গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের দায়ের করা এফআইআর এবং ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া মহিলার বয়ান মিলছে না। এই ঘটনা থেকেই এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, জিগনেশকে অকারণে হেনস্ত করেছে অসম পুলিশ।
রাজ্য পুলিশের এই ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য হাইকোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছে নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালত এই মামলায় আরও বলেছে, পুলিশের বয়ানের সত্যতা খতিয়ে দেখা দরকার। যখন যাকে পারো গ্রেফতার কর, নয় গুলি কর এটা একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। উচ্চ আদালতের কাছে আমাদের আর্জি এ ধরনের আচরণ বন্ধ করতে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।