জেল থেকে বেরিয়েই মোদীর কাছে ছুটলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, কী এমন হল?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন হেমন্ত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন হেমন্ত। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হেমন্তের প্রথম সাক্ষাৎ (Jharkhand)। পাঁচ মাস জেলে কাটানোর পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান তিনি। শুধু তাই নয়, ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতেও বসেন।

চলতি বছরের শেষের দিকে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার কয়েক মাস আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক ঘিরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ইন্ডি জোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিতে চলেছেন হেমন্ত? বিধানসভা ভোটে কি বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে লড়বে জেএমএম (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা)।

   

যদিও সমস্ত জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিয়েছেন সোরেন স্বয়ং। বৈঠকের ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে তিনি জানিয়েছেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের দু’মাস আগে অক্টোবরে হতে পারে। হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

গোটা রাজ্যে আবেদনকারীর সংখ্যা ৮, মুখ থুবড়ে পড়ল মোদী-শাহ’র সাধের CAA

ভারতের নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ১০ ও ১১ জুলাই ঝাড়খণ্ড সফর করেছে। সিনিয়র ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা এবং নীতেশ ব্যাস, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার কে রবি কুমার ২৪টি জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন।

চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন তিনি। পাঁচ মাস রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে ছিলেন হেমন্ত। ২৮ জুন হাইকোর্টের নির্দেশে ছাড়া পান সোরেন।

কেদারনাথ মন্দির থেকে উধাও ২২৮ কেজি সোনা! চাঞ্চল্যকর দাবি জ্যোতির্মঠ শঙ্করাচার্যের

তারপরই ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার তোড়জোর শুরু করেন তিনি। এদিকে হেমন্তের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় দলের জনপ্রিয় মুখ চম্পই সোরেনকে। জেএমএম পরিষদীয় দলের বৈঠকে চম্পইকে সরিয়ে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী পদের শপথ নেন হেমন্ত।