Jharkhand: মৃত্যুপুরী নিরসা, খনি থেকে পরপর দেহ উদ্ধার

বেআইনি কয়লা উত্তোলনের সময় খনির চাঙড় ধসে শ্রমিকদের মৃত্যু বাড়ছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) নিরসায়। ভিতর থেকে পরপর দেহ বের করে আনা হচ্ছে। সরকারিভাবে এই বেআইনি খনি…

Jharkhand illegal mining

short-samachar

বেআইনি কয়লা উত্তোলনের সময় খনির চাঙড় ধসে শ্রমিকদের মৃত্যু বাড়ছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) নিরসায়। ভিতর থেকে পরপর দেহ বের করে আনা হচ্ছে। সরকারিভাবে এই বেআইনি খনি উত্তোলনে নিহতদের সংখ্যা জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। খনির ভিতর ধসে চাপা পড়েছেন আরও অনেকে।

   

দুর্ঘটনার পর শোক জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পরেই ধানবাদ জেলা প্রশাসন তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।

পিটিআই জানাচ্ছে, সোমবার নিরসার কাছে অবৈধ খনি থেকে কয়লা উত্তোলন চলাকালীন চাঙড় ভাঙে। এটি ইসিএল অধীনস্ত। রাতেই আরেকটি খনির চাঙড় ধসে পড়ে। এটি বিসিসিএল অধীনস্ত। মঙ্গলবার নিরসার গোপীনাথপুরে আরও একটি খনির চাঙড় ভাঙে। এটি ইসিএল অধীনস্ত।

দুর্ঘটনাস্খল নিরসা ও পঞ্চেত থানার অন্তর্গত। ধানবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ চলছে। খনি শ্রমিকদের ঠিক কতজন ভিতরে তা স্পষ্ট নয়। তবে ভিতরে অনেকেই আটকে।

ধানবাদ থেকে যে বিস্তৃত খনি অঞ্চল ছড়িয়ে তার একাংশ পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্তর্গত। সম্প্রতি এই জেলার দুর্গাপুরের ফরিদপুরে খনি দুর্ঘটনায় চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

অবৈধ উত্তোলনের কাজে মাফিয়াদের বিপুল প্রতিপত্তি। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে কয়লা খাদান এলাকায় অবৈধ উত্তোলন চলছেই। আইএনটিউসি, সিটু, সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ,খনি শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে রাষ্ট্রায়ত্ত খনি সংস্থাগুলির বিস্তর গাফিলতি আছে। বেআইনি খনি উত্তোলন তো সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন।