চণ্ডীগড়: বৃহস্পতিবার দুপুরে ফের ভূকম্পনে কেঁপে উঠল হরিয়ানার ঝাঁজ্জর (jhajjar earthquake delhi ncr)। দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে ২.৫ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS)। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভৌগোলিকভাবে এটি অবস্থান করছিল ২৮.৬৪° উত্তর অক্ষাংশ ও ৭৬.৭৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
তিন-তিনবার ভূমিকম্প
এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে ঝাঁজ্জরে তিন-তিনবার ভূমিকম্প হল। গত বৃহস্পতিবার সেখানে ৪.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল, যা ছিল এই পর্বে সবচেয়ে শক্তিশালী। গত ১১ জুলাইও ৩.৭ মাত্রার একটি কম্পন নথিভুক্ত হয়েছিল ওই অঞ্চলে।
শুধু ঝাঁজ্জরই নয়, বুধবার রাতেও প্রতিবেশী রোহতকে (Rohtak) একটি মৃদু ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়। যদিও কোনও ক্ষেত্রেই প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
কেন বারবার কাঁপছে দিল্লি-এনসিআর?
দিল্লি-এনসিআর এবং এর আশপাশের জেলা যেমন ঝাঁজ্জর ও রোহতক ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল অঞ্চল। এই এলাকায় একাধিক সক্রিয় ফল্ট লাইন রয়েছে৷ যেমন মহেন্দ্রগড়-দেহরাদুন ফল্ট (Mahendragarh-Dehradun Fault), দিল্লি-হারিদ্বার রিজ, দিল্লি-সরগোধা রিজ, সোহনা ও মথুরা ফল্ট।
এই ফল্টগুলির নড়াচড়া এবং হিমালয়ের গভীরে হওয়া টেকটোনিক মুভমেন্ট, উভয়ের প্রভাবেই বারবার ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে এই অঞ্চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহেন্দ্রগড়-দেহরাদুন ফল্টটি ভারতের স্থিতিশীল প্লেটকে হিমালয়ের অত্যন্ত সক্রিয় ফ্রন্টাল থ্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত করে, যার জেরে ঘনবসতিপূর্ণ দিল্লি-এনসিআর জোনে ভূকম্পনের ঝুঁকি বহু গুণ বেড়ে যায়।
ভবিষ্যতের প্রস্তুতি জরুরি
পরপর এই কম্পনগুলিকে সতর্ক সংকেত হিসেবে দেখছেন ভূতত্ত্ববিদরা। তারা বলছেন, যদিও এগুলো স্বল্প মাত্রার ছিল, তবে এর অর্থ এই যে এলাকার ফল্ট লাইনে চাপ জমছে। তাই ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।