উত্তর জেরুজালেমের (Jerusalem Shooting Attack) এক ব্যস্ত চৌরাস্তা থেকে ঘটলো এক ভয়াবহ গুলিবর্ষণ হামলা, যেখানে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা একটি বাসে গুলি চালাতে শুরু করে, যা মুহূর্তেই আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
হতাহতের পরিস্থিতি
আহতদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদের তৎক্ষণাৎ নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকেই বাসের যাত্রী এবং চৌরাস্তার কাছাকাছি থাকা পথচারী। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে কিছুজনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে।
পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
হামলার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে পুলিশ শিগগিরই ধরেছে, তবে হামলাকারীদের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হামলার স্থানটি উত্তর জেরুজালেমের প্রধান চৌরাস্তা, যা পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত ইহুদি বসতি এলাকায় যাওয়ার রাস্তা। এই রাস্তা সাধারণত ব্যস্ত এবং নিরাপত্তা নজরদারির অধীনে থাকে, কিন্তু হামলার ফলে পরিস্থিতি শীঘ্রই চরম উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
সময় ও প্রাথমিক তথ্য
সকালের ব্যস্ত সময়ে হামলাকারীরা বাসে গুলি চালানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, কিছুজন নিকটস্থ দোকান বা কাভারেজের নীচে লুকিয়ে পড়েন। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, হামলাকারীদের মোটিভ বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশের এলাকার জনগণকে সতর্ক করে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, “আমি চৌরাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎবাসের ভিতরে গুলির শব্দ শুনি। লোকজন চিৎকার করতে থাকে এবং ছুটতে শুরু করে। পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এটি এক ভয়াবহ দৃশ্য ছিল।”
অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আহতদের সাহায্য করার জন্য স্থানীয় মানুষ এবং প্যারামেডিক্স একত্রিত হয়ে কাজ করেছে, এবং আহতদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া**
এই হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং বিভিন্ন দেশের সরকার তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনেক দেশ হামলার নিন্দা জানিয়ে জেরুজালেমে নিরাপত্তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সশস্ত্র হামলা শহরের সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। নিরাপত্তা বাহিনীকে এমন ঘটনায় আরও সতর্ক ও সক্রিয় হতে হবে।
নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
জেরুজালেম পুলিশ জানিয়েছে, হামলার পর নিরাপত্তা চেকপোস্ট ও নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকায় পুলিশ ও সিকিউরিটি বাহিনী প্রহরী নিয়োগ করেছে, যাতে পুনরায় কোনো হামলা সংঘটিত না হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা শহরের উত্তরের দিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা** দেখিয়েছে। প্যারামেডিক্স এবং জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকেও প্রস্তুত থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।