‘ইজরায়েল যু্দ্ধই কাঁটা’, ত্যাগীর পদত্যাগে বিরোধ বাড়ছে মোদী-নীতীশের

লোকসভা ভোটের পর বিজেপির (BJP) জোট এনডিএর (NDA) অন্যতম বড় শরিক জেডিইউ (JDU)। নীতীশের (NItish Kumar) দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার…

jdu leader Kc tyagi isreal palastine remarks and resigns sparks controversy within nda

লোকসভা ভোটের পর বিজেপির (BJP) জোট এনডিএর (NDA) অন্যতম বড় শরিক জেডিইউ (JDU)। নীতীশের (NItish Kumar) দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার (Narendra Modi)। কিন্তু প্রথমে দুই দলের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে রাখলেও ক্রমেই তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি জাতি জনগণনা নিয়ে বিরোধীদের দাবিকেই সমর্থন করে নীতীশের দল। পরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির আলোচনায় সেই দাবি মানতেই বাধ্য হয় বিজেপি। এরমধ্যে জেডিইউর জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বসেন কেসি ত্যাগী। আর যা নিয়ে রীতিমতো জলঘোলা শুরু হয়েছে এনডিএ-র অন্দরে। 

গুরুতর অসুস্থ আরজি করের ফরেন্সিক শিক্ষক দেবাশিস সোম, ভর্তি আইসিইউতে

   

তবে কেসি ত্যাগী কেন ইস্তফা দিলেন, সেই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি এই প্রবীন নেতা। ব্যক্তিগত কারণেই তাঁর পদত্যাগ বলেই জানান তিনি। তবে জল্পনা কেসি ত্যাগীর এই ইস্তফা ভালোভাবে নেন নি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দলের সঙ্গে আলোচনা না করে তিনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন, সেই বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেননি নীতীশ।

কনস্টেবল নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষার সময় প্রাণ হারালেন ১০ পরীক্ষার্থী!  

তাছাড়াও অন্য আরও একটি কারণ রয়েছে। যা নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্প্রতি ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ত্যাগী। তিনি বলেন, “প্যালেস্টাইনের সঙ্গে যুদ্ধে ভারতের উচিত ইজরায়েলকে অস্ত্র না পাঠানো।” আর জেডিইউ নেতার এই মন্তব্য সামনে আসেতেই নড়েচড়ে বসে মোদী শিবির। বিদেশ নীতি সংক্রান্ত এমন মন্তব্যের জন্য জেডিইউকে কড়া নালিশ জানায় বিজেপি। কারণ ইজরায়েলের যুদ্ধে গতবছর হামাস সন্ত্রাসীদের হানায় ইজরায়েলকেই প্রথমে সমর্থন করে নয়াদিল্লি। কিন্তু পরে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে দ্বি-রাষ্ট্র বা ‘টু-স্টেটস পলিসি’র পুরনো নীতি মেনেই কূটনৈতিক ভারসাম্য আনার চেষ্টা করে ভারত। 

আবাসিক এলাকা থেকে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ৩ দিনে উদ্ধার ২৪ টি কুমির!

তবে কূটনৈতিক মহলের ধারনা ‘টু-স্টেটস পলিসি’কে সমর্থন জানালেও ইজরায়েলের সঙ্গে গভীর সখ্যতা কোনওভাবেই নষ্ট করতে রাজি নয় নয়াদিল্লি। তারমধ্যে জেডিইউ নেতার এমন স্পর্শকাতর মন্তব্যের পর থেকেই নীতীশের সঙ্গে ত্যাগীর দুরত্ব বাড়তে থাকে। দলের মধ্যে কোনঠাসা হতে শুরু করেন ত্যাগী। এবার কেসি ত্যাগীর পদত্যাগ আগামী বছর বিহার নির্বাচনে এনডিএ জোটে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার।