উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) ঝাঁসি (Jansi) জেলার মহারানী লক্ষ্মী বাই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (hospital) শিশুদের ওয়ার্ডে শুক্রবার রাতে এক মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের (fire) ঘটনা ঘটেছে, যাতে অন্তত ১০ জন শিশুর মৃত্যু (child death) হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আরো ১৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যারা বর্তমানে জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার ঘটনাস্থলে তৎপরতা দেখিয়ে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, তবে ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত ব্যাপক।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ কুমার জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০.৪৫ মিনিটে মহারানী লক্ষ্মী বাই মেডিকেল কলেজের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU) থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তখন ওই ইউনিটে বেশ কিছু শিশু ভর্তি ছিল, যারা সবাই খুবই গুরুতর অবস্থায় ছিল। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, ঘটনাস্থলে উদ্ধারকর্মীরা তৎপর হয়ে শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে, বেশ কিছু শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
हृदयविदारक! उत्तर प्रदेश में झांसी के मेडिकल कॉलेज में आग लगने से हुआ हादसा मन को व्यथित करने वाला है। इसमें जिन्होंने अपने मासूम बच्चों को खो दिया है, उनके प्रति मेरी गहरी शोक-संवेदनाएं। ईश्वर से प्रार्थना है कि उन्हें इस अपार दुख को सहने की शक्ति प्रदान करे। राज्य सरकार की…
— PMO India (@PMOIndia) November 16, 2024
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি এক এক্স-এ বলেছেন, “এটি এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা তাদের নিষ্পাপ শিশুদের হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন তারা এই বিশাল ক্ষতি সহ্য করার শক্তি পান।” প্রধানমন্ত্রী মোদি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন এবং তাদের পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী মোদি নিহত শিশুদের পরিবারের জন্য ২ লাখ (2 lakh) টাকা এক্স-গ্রেশিয়া বা আর্থিক সহায়তা ঘোষণা (announced) করেছেন, এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং যথাসম্ভব দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সক্রিয় রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত আহতদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তাদের জীবন রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঝাঁসি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা ওই শিশুদের চিকিৎসা এবং তত্ত্বাবধান করছেন।
অগ্নিকাণ্ডের পর প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের সকল সম্ভাব্য সাহায্য প্রদান করছে। তবে, এই ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে যে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে, তা সহজে সয়ে ওঠা সম্ভব নয়, বিশেষত নিহত শিশুদের পরিবারগুলোর জন্য।