রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাধীনতা দিবসের নৈশভোজে আমন্ত্রিত ঝাড়খণ্ডের ‘লেডি টারজান’

Jamuna Tudu: পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত এবং পরিবেশবিদ যমুনা টুডু (Jamuna Tudu)- কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাধীনতা দিবসের একটি বিশেষ নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যমুনা টুডু ‘লেডি…

Jamuna Tudu

Jamuna Tudu: পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত এবং পরিবেশবিদ যমুনা টুডু (Jamuna Tudu)- কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বাধীনতা দিবসের একটি বিশেষ নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যমুনা টুডু ‘লেডি টারজান’ (Lady Tarzan) নামেও পরিচিত। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বন সংরক্ষণে তার প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ এটি করা হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ায় তার নিজ শহরে টুডুকে বিশেষ আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত বিশেষ নৈশভোজে তাকে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

   

Jamuna Tudu: ‘প্রত্যেক মহিলার জন্য আমন্ত্রণ’

আমন্ত্রণপত্রটি পাওয়ার পর টুডু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং ভারতীয় ডাক বিভাগকে এটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণপত্রটিকে সম্মানের বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “এই আমন্ত্রণপত্রটি কেবল আমার জন্য নয়, বরং পরিবেশ রক্ষার জন্য লড়াই করা প্রতিটি মহিলা এবং প্রতিটি গ্রামবাসীর জন্য। আমি ভারতীয় ডাক বিভাগকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমার বাড়িতে এই সম্মান পৌঁছে দিয়েছে।”

Advertisements

Jamuna Tudu: যমুনা টুডু কে?
১৯৯০ সালে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের একজন কৃষকের ঘরে জন্মগ্রহণকারী টুডু তার শৈশবের বেশিরভাগ সময় বনে কাটিয়েছেন। বিয়ের পর তিনি ঝাড়খণ্ডে চলে যান, যেখানে তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন, আর তার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। ঝাড়খণ্ডে অবৈধভাবে বন কাটার ফলে টুডু হতাশ হয়ে পড়েন, কিন্তু তিনি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এবং আরও ১০,০০০ মহিলা প্রায় ১০,০০০ হেক্টর বন রক্ষা করেছেন। বনের অবৈধ কাটা বন্ধ করার জন্য টুডু ‘বন সুরক্ষা সমিতি’ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

তার অভিযানের সময়, টুডু প্রায়শই নকশালপন্থী এবং কাঠ মাফিয়াদের দ্বারা আক্রান্ত হতেন, কিন্তু তিনি তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যান এবং মানুষকে সচেতন করতে থাকেন, যার ফলে লোকেরা তাকে ‘লেডি টারজান’ বলে ডাকতে শুরু করে। টুডু বলেন যে তিনি কাউকে ভয় পান না এবং বন রক্ষার জন্য তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।