জঙ্গি আঁতাতের অভিযোগে বরখাস্ত ভূস্বর্গের দুই পুলিশকর্তা

jammu-kashmir-police-officers-dismissed-terror-links

জম্মু: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir)কাঠুয়া জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ফাটল ধরা পড়েছে। দুই স্পেশাল পুলিশ অফিসার (SPO) আব্দুল লতিফ এবং মহম্মদ আব্বাসকে তাদের জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ এবং সাহায্যের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশের তথ্য অনুসারে, আব্দুল লতিফ জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের কার্যক্রমে সহায়তা করত। তার বিরুদ্ধে প্রথম তথ্য রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করা হয়েছে এবং সে এখন ডোডা জেলে বন্দি।

Advertisements

এই ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনীতে হইচই তুলে দিয়েছে, যা আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদের নেটওয়ার্কের গভীরতা প্রকাশ করছে। কাঠুয়া পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট মোহিতা শর্মা এই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন, যা প্রাথমিক তদন্তের পর নেওয়া হয়েছে।এই বরখাস্তের পেছনে রয়েছে একটি গুরুতর অভিযোগের চেইন। পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, আব্দুল লতিফ এবং মোহাম্মদ আব্বাসকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কার্যকলাপের সন্দেহে।

   

শুধু মোবাইল-টিভি নয়, চলছে মদ্যপান ও উদ্যাম নাচ! বেঙ্গালুরুর জেলের নয়া তথ্য ফাঁস!

তারা স্থানীয় ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার (ওজিডব্লিউ) হিসেবে কাজ করত, যারা জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট, তথ্য সরবরাহ এবং আশ্রয় প্রদান করে। বিশেষ করে, আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে যার মধ্যে জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ এবং তাদের কার্যক্রমে সক্রিয় সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।

দোদা জেলে তার বন্দি অবস্থা থেকে বোঝা যাচ্ছে, তদন্ত এখনও চলছে এবং আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে। কাথুয়া জেলা, যা লোহিত নদীর তীরে অবস্থিত এবং পাকিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার জন্য সংবেদনশীল।

Advertisements

এই অফিসারদের বরখাস্ত নিরাপত্তা বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শুদ্ধিকরণের একটি অংশ, যা আর্টিকেল ৩৭০ বাতিলের পর বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ।কাথুয়ার এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, এর ছায়া পড়েছে পুরো জম্মু অঞ্চলে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কাথুয়ায় বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে, যেমন এপ্রিল মাসে একই পরিবারের ছয়জন চারজন মহিলা সহ গ্রেফতার হয়েছিল পুলিশ অফিসারদের হত্যাকারী জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে।

সেই পরিবারের সাথে যুক্ত ছিলেন আবু লতিফ নামের এক ওজিডব্লিউ, যিনি ২০২৩ সালে বাদনোটা গ্রামে আর্মি কনভয়ে হামলার পেছনে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিলেন, যাতে পাঁচজন সৈনিক শহীদ হন। এই নতুন ঘটনা সেই নেটওয়ার্কের ধারাবাহিকতা নির্দেশ করছে।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সিআইকেআই (কাউন্টার ইনসার্জেন্সি কিডন্যাপিং) ইউনিটও এই অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, যারা জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পালানোর সাহায্য করত। এই বরখাস্তের পর পুলিশ আরও তদন্তের জন্য একটি স্পেশাল টিম গঠন করেছে, যা অন্যান্য সম্ভাব্য অনুগামীদের খুঁজে বের করবে।