HomeBharatভারতের বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ! জৈশ প্রধানের বিস্ফোরক ঘোষণা

ভারতের বিরুদ্ধে নয়া পদক্ষেপ! জৈশ প্রধানের বিস্ফোরক ঘোষণা

- Advertisement -

পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর থেকে একটি অডিয়ো বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই ভারতের নিরাপত্তা (Jaish-e-Mohammed women’s wing)মহলে বইছে উদ্বেগের ঝড়। জৈশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহমদ আজহার নিজে ঘোষণা করেছেন, এই সংগঠনে নতুন একটি ‘মহিলা উইং’ গঠন করেছে এবং ইতিমধ্যেই ৫০০০ নারীকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। আজহারের ভাষ্যে, এই নারী জিহাদিরা “জান্নাতের পথে” এগিয়ে যাচ্ছেন এবং তাদের বিশেষ ফিদায়িন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

অডিয়ো বার্তায় মাসুদ আজহার বলেন, “আজ থেকে জৈশ-ই-মহম্মদের মহিলা উইং আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হল। পাঁচ হাজার বোন ইতিমধ্যেই আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপে অনলাইনে অস্ত্র চালনা, বোমা তৈরি, গেরিলা যুদ্ধ এবং সাইবার জিহাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে তাদের মাঠে নামানো হবে এবং বিশেষ ফিদায়িন দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, এই মহিলা উইং শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে “কাফের শাসনের” বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

   

লাচেনপার অনবদ্য সেভ, তবুও ২-০ গোলে এগিয়ে গোয়া

সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, জৈশ এই মহিলা জঙ্গি তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী ডোনেশন ড্রাইভ শুরু করেছে। বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড অ্যাপ ও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। “একজন মুজাহিদ বোনকে প্রশিক্ষণ দিতে যে খরচ হয়, তার বদলে জান্নাতে হাজার গুণ প্রতিদান পাবেন” – এই আহ্বান দিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে,” বলছেন জঙ্গি সংগঠন-বিশেষজ্ঞরা।ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, উত্তর প্রদেশ ও অসমের কিছু এলাকায় অনলাইনে নারীদের রিক্রুট করার চেষ্টা চলছিল।

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, টেলিগ্রাম চ্যানেল ও ইডার্ক ওয়েবের বিশেষ ফোরামে “বোনদের জন্য জিহাদের দাওয়াত” নামে বেশ কিছু গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। সেখানে বোরখার ভেতর অস্ত্র লুকানোর কৌশল, স্কুল-কলেজে বোমা পৌঁছে দেওয়া, পুরুষ জঙ্গিদের তথ্য সাহায্য করা – এসব বিষয়ে ভিডিয়ো টিউটোরিয়াল দেওয়া হচ্ছে।নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারী জঙ্গিদের ব্যবহার করলে নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে শনাক্ত করা অনেক কঠিন হয়।

পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই জৈশ বুঝেছে, পুরুষ জঙ্গিরা সহজে ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাই এখন তারা “অদৃশ্য যোদ্ধা” হিসেবে নারীদের সামনে আনছে। আইএসআইএস যেভাবে ইরাক-সিরিয়ায় নারী ফিদায়িন ব্যবহার করেছিল, ঠিক সেই মডেলই এখন জৈশ অনুসরণ করছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাইবার সেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই সমস্ত গ্রুপ ও চ্যানেল বন্ধ করতে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এসটিএফ ও এবং এনআইএ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে, যারা এই অনলাইন প্রশিক্ষণে যোগ দিয়েছিলেন বলে সন্দেহ।এই ঘোষণা যদি সত্যি হয়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার জঙ্গি কার্যকলাপে এক নতুন ও ভয়ঙ্কর অধ্যাধ্যায় শুরু হতে চলেছে। যে নারীরা সমাজের সবচেয়ে নিরীহ মুখ বলে বিবেচিত হন, তাদেরই হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে জৈশ যে নতুন খেলা শুরু করল, তার ফল কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা ভাবতেই শিউরে উঠছে গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular