শনিবার নিয়ে টানা চারদিন ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে আয়কর বিভাগ(IT Raid) । এখনও পর্যন্ত ১৫৬ টি নগদ টাকার ব্যাগ উদ্ধার করেছেন। যার মধ্যে ২২৫ কোটি টাকারও বেশি নগদ পাওয়া গিয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে রাঁচিতে কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাসভবন থেকে তিনটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। সূত্রের খবর, সাহুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ব্যাগগুলিতে গয়না ছিল।একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলায় এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে।
আয়কর বিভাগ সম্বলপুর, বোলাঙ্গির, টিটিলাগড়, বৌধ, সুন্দরগড়, রাউরকেলা এবং ভুবনেশ্বরে অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়ে মদ ব্যবসায়ী সংস্থা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, যখন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ সাহুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার একটি মদ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর, তার তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। রাঁচিতে তাঁর অফিসের কর্মীরা জানিয়েছেন, সাংসদকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আয়কর দফতর শুক্রবার তৃতীয় দিনের মতো ওড়িশার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ১৫৬ টি ব্যাগ উদ্ধার করেছে বলে আয়কর আধিকারিকরা জানিয়েছেন। এই ব্যাগগুলি থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা গণনা করা হয়েছে। এ নিয়ে অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের বৃহত্তম মদ উৎপাদন ও বিক্রয় সংস্থাগুলির মধ্যে একটি ‘বলদেব সাহু অ্যান্ড গ্রুপ অফ কোম্পানিজ’-এর বোলাঙ্গির অফিসে অভিযানের সময় প্রায় ২০০ কোটি টাকা নগদ জব্দ করা হয়েছিল। বুধবার সুন্দরগড় শহরের সারগিপালিতে কয়েকটি বাড়ি, অফিস ও মদ উৎপাদন ইউনিটে অভিযান চালানো হয়।
ভুবনেশ্বরের পালাসাপল্লীতে বৌদ্ধ লিকার প্রাইভেট লিমিটেডের কর্পোরেট অফিসেও তল্লাশি চালায় দলটি। কোম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তার বাসভবন, বৌধ ও রানীসতী রাইস মিলের কারখানা ও অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।