ইরানকে ঠান্ডা করতে বাংলাই ভরসা, ইছাপুর সেনা পাঠাল ইজরায়েল

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিদিনই হামাস-হিজবুল্লাহের সঙ্গে ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধ চলছে লেবাননের মাটিতে। মিসাইল হানা পাল্টা হানায় মধ্যপ্রাচ্য এখন যেন জতুগৃহ। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Iran…

Israel orders shells and missile shield to Msf icchapur westbengal

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে উত্তপ্ত গোটা মধ্যপ্রাচ্য। প্রতিদিনই হামাস-হিজবুল্লাহের সঙ্গে ইজরায়েলের (Israel) যুদ্ধ চলছে লেবাননের মাটিতে। মিসাইল হানা পাল্টা হানায় মধ্যপ্রাচ্য এখন যেন জতুগৃহ। ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধের (Iran israel war) আবহে ক্রমশই উত্তেজনা বাড়ছে জর্ডন নদীর দুপারে। সম্প্রতি ইজরায়েলের ওপর ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় সেই উত্তেজনা আরও বেড়েছে। 

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ১৩০০০ ইন্টার্নশিপের সুযোগ TCS, Wipro-তে, কবে আবেদনের শেষদিন?

   

ইরানের ওপর পাল্টা হামলা হানতে ইতিমধ্যেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজরায়েল। এমন অবস্থায় যুদ্ধে এবার এই বাংলার দ্বারস্থ হল ইজরায়েল। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কারণ ইজরায়েলের কাছে যেই প্রযুক্তি রয়েছে তাতে গোটা বিশ্বই তাঁর কাছে নতজানু, তবুও এই বাংলার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে।

কারণ ইজরায়েলের মিসাইলগুলির অধিকাংশ হামাস-হিজবুল্লাহের ডেরায় হামলা চালালেও অনেকসময় তা শক্ত মাটি ভেদ করে বাঙ্কারে আছড়ে পড়তে ব্যর্থ হচ্ছে। যারফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ইজরায়েলের সেনাকে। আর সেই সমস্যা মেটাতেই এবার উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির অধীনে মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরি বা এমএসএফের দ্বারস্থ হল তেল আভিভ। এই কারখানাতেই তৈরি হয় উন্নত প্রযুক্তির মজবুত মিসাইলের খোল। যা যথেষ্ট টেকসই। 

চোট সমস্যার সমাধান ! ফিটনেস ইস্যুতে এবার ‘বড়’ চমক আনছে ইস্টবেঙ্গল

ভারতীয় সেনার বোফর্স কামানের গোলাতেও এই এমএসএফের ইস্পাত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারণ এই কারখানায় লোহা গরম করে পিটিয়ে তিন ভাবে ফোর্জ পদ্ধতিতে মিসাইলের খোল তৈরি হয়। আর এই পদ্ধতি মিসাইল নিখুঁত টার্গেটে হিট করতে ও মাটি ভেদ করতে অধিকমাত্রায় সক্ষম। বিশ্বের মধ্যে এই কারণেই ইচ্ছাপুরের এমএসএফের বিশেষ জনপ্রিয়তা রয়েছে।

বিগত কয়েক মাস আগেই ইছাপুর খোঁজ পায় ইজরায়েল। তারপর নয়াদিল্লির সাউথব্লকের মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবে যোগাযোগ করা হয় ইচ্ছাপুরের এমএসএফের সঙ্গে। তারপর গত ১৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় আসেন আইডিএফ বা ইজরায়েল সেনার একটি প্রতিনিধি দল। ইচ্ছাপুরে গিয়ে কারখানা পরিদর্শন করেন তাঁরা। নিজেদের স্প্যাসিফিকেশন জানিয়ে বিপুল সংখ্যক মিসাইলের খোলের অর্ডার দেয় তেল আভিভ। আর সেই অর্ডার পেয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

প্রকাশিত হল টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, পরীক্ষা ২৪ অক্টোবর

১৮৭২ যাত্রা শুরু এমএসএফের। গত দুই শতক ধরেই এই গোলাগুলির খোল বানিয়ে আসছে তাঁরা। ১৯২০ সালে কারখানাটি অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির অধীনস্ত হয়। তারপর থেকেই রমরমিয়ে চলছে এমএসএফ।